sliderশিক্ষাশিরোনাম

জেএসসি পরীক্ষা গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং শিক্ষা বোর্ডের আর্থিক ও উপকরণের সহযোগিতায় এ বছর থেকে অষ্টম শ্রেণীর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রাজধানীর মীরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের উদ্যোগে অধিদফতরের মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়ামে ‘প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীতকরণ বিষয়ক অবহিতকরণ ও করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
দেশের উন্নয়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে অষ্টম শ্রেণিতে এ পরীক্ষা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে উল্লেখ করে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বৈশ্বিক উন্নয়নের সাথে সঙ্গতি রেখে আমাদের শিক্ষা পদ্ধতিকে পরিবর্তনের পাশাপাশি মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ, তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতার দিকটিকে নিশ্চিত করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘অষ্টম শ্রেণিকে এ মন্ত্রণালয়ে সম্পৃক্ত করায় এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সংশ্লিষ্ট সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও জবাবদিহিতায় এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবো।’
জেএসসি পরীক্ষা


প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন খালেদ, একই মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নজরুল ইসলাম খান, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক জিয়াউদ্দিন আহমেদ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে অর্থনীতিতে যে পরিমাণ এগিয়ে এসেছে তাতে শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারলে দেশের আরও উন্নয়ন সম্ভবপর হবে। শিক্ষার উন্নয়নে যথাযথ কাজ করে যেতে হবে।
জ্ঞানভিত্তিক একটি সমাজ প্রতিষ্ঠায় শিশুর মানসিক গঠনে পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা খুব জরুরি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষাব্যবস্থায় গলদ ঢুকে গেছে এসব উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে শিক্ষকদের বেড়িয়ে শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় আত্মনিবেদন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ ছাড়া তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের প্রতি সেবা ও আত্মনিবেদনের ঘাটতি রয়েছে। এ সংকট কাটিয়ে উঠতে আগত শিক্ষকদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন খেয়াল রাখতে হবে সন্তানদের প্রতি, শিক্ষার্থীদের প্রতি। তাদের একজন মানুষের মতো মানুষ হতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে’।
অষ্টমশ্রেণির মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিতে কম্প্রিহেনসিভ পাঠ্যক্রম তৈরি করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষাপদ্ধতি পরিবর্তন করা ছাড়াও শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আরো সতর্ক হলে আরো মানসম্মত পাঠদান পদ্ধতি নির্ধারণ করা গেলে দেশে জঙ্গি তৈরি হবে না।
শিক্ষানীতি ২০১০-এর ২ অধ্যায়-এর অনুচ্ছেদ-১-এ প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ ও বাস্তবায়ন সম্পর্কে চারটি পদক্ষেপ গ্রহণ করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে বৃদ্ধি করে আট বছর অর্থাৎ অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে। এতে উল্লেখ করা হয়, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার নতুন কার্যক্রম, পাঠ্যপুস্তক এবং শিক্ষক নির্দেশিকা প্রণয়ন করা, প্রাথমিক পর্যায়ে সকল শিক্ষকের জন্য শিক্ষাক্রম বিস্তারসহ শিখন-শেখানো কার্যক্রমের ওপর ফলপ্রসূ ব্যবস্থা গ্রহণ, শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয় পুনর্বিন্যাস এবং সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভৌত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ানো,যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ কওে আট বছরব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন ২০১৮-এর মধ্যে ছেলে-মেয়ে, আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং জাতিসত্তা নির্বিশেষে পর্যায়ক্রমে দেশের সকল শিশুর জন্য নিশ্চিত করা উল্লেখযোগ্য।
কর্মশালার আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ হাজার ৫০৪টি ল্যাপটপ ও ৫ হাজার ৯৪১টি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণ করেন।
পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ে একটি করে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণ করা হবে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরেই ৬৪ হাজার স্কুলে ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর বিতরণের লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, ল্যাপটপ বিতরণের ক্ষেত্রে ৫ম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে যে সকল বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে এবং আইসিটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক রয়েছে সেসকল বিদ্যালয়কে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
সূত্র : বাসস

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button