দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুর সদর উপজেলার ৭নং উথরাইল ইউনিয়নের চকরামপুর ডাক্তার পাড়ায় কিশোর হত্যার আসামী বাপ্পি চন্দ্র (২০) কে গ্রেফতার করেছেন কোতয়ালী থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও পরিবারের সুত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার উথরাইল ইউনিয়নে চকরামপুর গ্রামের প্রতিবেশী মধু রায়ের পুত্র বাপ্পি চন্দ্র রায় জোর করে ভীমের বোনকে বিয়ে করতে চাইলে ভীম বাঁধা দেয়। এই নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে মনোমালিন্য চলে আসছিলো।
গত ৩ এপ্রিল রবিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬ ঘটিকায় বাপ্পি চন্দ্র রায়, ভীমের বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে দেখে ডেঁকে নিয়ে যায় ভীমকে।
রাতে ভীম চন্দ্র রায় বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশিরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। রাত আনুমানিক ২ ঘটিকায় বাড়ির পাশে নদীর পাড়ের বাঁশঝাড়ে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় ভীমের মৃতদেহ পরে থাকতে দেখতে পায় এলাকাবাসী।
সোমবার (৪ এপ্রিল) সকালে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে কোতয়ালী থানা পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রতিবেশী বাপ্পি চন্দ্র রায় (২০) কে গ্রেফতার করেছেন কোতয়ালী থানা পুলিশ এবং ভীমের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক মাওলানা বলেন, “রবিবার রাতে একটি অভিযোগ পাই অভিযোগ পাওয়ার পর ৭নং উথরাইল ইউনিয়নের চকরামপুর ডাক্তার পাড়ায় গিয়ে ভীম চন্দ্র রায় নামে এক কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করি। তার মৃতদেহ য়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। রবিবার রাতেই অভিমান চালিয়ে বাপ্পি চন্দ্র রায়কে আঁটক করি। নিহত ভীমের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দাঁয়ের করেছেন। আমরা আসামীকে কোটে হস্তান্তর করবো”।
এই ঘটনায় নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী প্রকৃত দোষীব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।