sliderশিরোনামশীর্ষ সংবাদ

সিলগালা কনটেইনারে শ্রমিক গেল কী করে?

বাংলাদেশে চট্টগ্রাম বন্দরে রপ্তানিমুখী একটি কনটেইনারের ভেতর থেকে এক শ্রমিককে আজ সোমবার উদ্ধার করেছেন বন্দরের নিরাপত্তা কর্মীরা।
চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক(নিরাপত্তা) লে:কর্ণেল আব্দুল গাফফার বিবিসিকে জানান, বাবুল ত্রিপুরা নামের ওই শ্রমিককে সকাল সাড়ে আটটার দিকে কনটেইনারের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান প্রায় ৪০ ফুট দীর্ঘ ওই কনটেইনারটি সিঙ্গাপুরগামী একটি জাহাজে উঠানোর কথা ছিল।
বন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাবুল ত্রিপুরা কেপিএস ডিপোতে কাজ করেন। মাত্র সাতদিন আগেই তিনি সেখানে কাজ শুরু করেছেন। তাঁর বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা এলাকায়।
কিভাবে সিলগালা করা কনটেইনারে ওই শ্রমিক রয়ে গেল?
বন্দরের পরিচালক(নিরাপত্তা) লে:কর্ণেল আব্দুল গাফফার বিবিসিকে বলেন, ওই শ্রমিক কনটেইনারে মালামাল ভরে ক্লান্ত হয়ে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েছিল।
“কথাবার্তা বলে যা জানতে পেরেছি, ওই শ্রমিক কাজ শেষ করে ভোররাতের দিকে ঘুমিয়ে পড়েছিল। সে ঘুমিয়ে পড়ার পরেই বোধহয় কনটেইনারটি সিলগালা করে ডিপো থেকে বন্দরে পাঠিয়ে দেয়া হয়।”
“রপ্তানি পণ্যবাহী ওই কনটেইনারটি বন্দরের চার নাম্বার গেইটে আসার পর নিরাপত্তাকর্মীরা যখন কাগজপত্র দেখছিল ভেতর থেকে কিছু একটা আওয়াজ তারা পাচ্ছিল। তাদের সন্দেহ হয়। এরপরে নিরাপত্তা কর্মীরা কনটেইনার খুলে ওই শ্রমিককে উদ্ধার করে” -বলেন মি: গাফফার।
শ্রমিক বাবুলকে অনেকটা পানিশূন্য অবস্থাতে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান কর্মকর্তারা। তবে কিছু সময় চিকিৎসা নেবার পর বাবুল এখন কিছুটা সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
মি: গাফফার বলছিলেন “কনটেইনারে যদি সে আরো বেশি সময় থাকতো তাহলে বড় কিছু একটা তার হয়ে যেত”।
কীভাবে রপ্তানিপণ্যবাহী একটি কনটেইনারে শ্রমিকটি থেকে গেল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানা নিরাপত্তা বিষয় পরিচালক লে:কর্ণেল আব্দুল গাফফার।
তিনি মনে করেন এই বিষয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নজর রাখা প্রয়োজন ছিল এবং ঘটনা অনুসন্ধানে তাদেরও আলাদাভাবে তদন্ত করা উচিত।
“এটাতো বড় বিষয়, কনটেইনটারটা সিলগালা করে দেয়া হয়েছিল। সেটা সিঙ্গাপুর যাবার কথা ছিল। এখন নিরাপত্তা কর্মীরা সন্দেহ না করলে শ্রমিকতো ভেতরেই থেকে যেত। একটা কনটেইনার সিলগালা করার আগে সেটা আবার চেক করা কাস্টমসের দায়িত্ব” বলেন মি: গাফফার।
সুত্র : বিবিসি

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button