sliderস্থানীয়

লালপুরে বোরো ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের লালপুরে বিস্তৃর্ণ এলাকাজুড়ে কৃষাণ-কৃষাণীরা চাষাবাদ করেছেন বোরো ধান। গেল কয়েক দিন আগেও তীব্র খরায় কৃষকের মাথায় চিন্তার ভাঁজ ছিল। সম্প্রতি একপশলা বৃষ্টিতে কৃষকরা আশায় বুক বেঁধেছেন। চারায় ধান বেরুনোর সময় বৃষ্টির হওয়ার ফলে দেদার বেরুচ্ছে ধান। যতটুকু চোখ যায়, শুধু দেখা যায় সোনালি ধান আর ধান। উচুঁ ও কম বৃষ্টিপাতের এলাকা হওয়ায় নাটোরের লালপুরে তেমন বোর ধানের চাষ না হলেও চলতি মৌসুমে রেকর্ড পরিমান জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়ছে। নিবিড় পরিচর্যা ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার বোরো ধানের ফলনও হয়েছে ভালো। তাই তো কৃষকরা বলছে উৎপাদিত ধানের ভালো দাম পেলে বিগত বছরের ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে যাবে।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, ১ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষমাত্রা থাকলেও চলতি মৌসুমে লালপুরে ১ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। যা রেকর্ড পরিমান। এই সকল জমি থেকে ৭ হাজার ৮৫৪ মেক্টিক টন ধান ও ৫ হাজার ২৩৬ মেক্টিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, জমির পাকা ধান ঘরে তুলায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক ও তার পরিবার। উপজেলার মোট চাষকৃত ধানের প্রায় ৯০% এখন কৃষকের ঘরে উঠেছে। এসময় ধান চাষী শিপন বলছেন, এবছর ৩ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছে তিনি।
কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় ও নিবিড় পরিচর্যায় ধানের আশনুরূপ ফলন হয়েছে। উৎপাদিত ধানের সঠিক বাজার দর পেলে বিগত দিনের ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে যাবে বলে জানান এই কৃষক।
সেলিম রেজা নামের এক ধান চাষী জানান,৩ বিঘা জমিতে বঙ্গবন্ধু ধানের চাষ করেছেন । অনুকুল আবহাওয়া থাকায় ও পোকামাকড়েরর আক্রমন তেমন না হওয়ায় তার ধান ভালো হয়েছে। এখনো ধান কাটা হয়নি। তবে অন্য জাতের ধানের চেয়ে বঙ্গবন্ধু ধানের ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন ।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে লালপুরে রেকর্ড পরিমান জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানের বা¤পার ফলন হয়েছে। উৎপাদিত ধানের সঠিক বাজার দর পেলে কৃষকদের বিগত দিনের ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে যাবে এবং আগামীতে এই উপজেলায়া বোরো ধানের চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে জানান এইকর্মকর্তা।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button