
শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে ধেয়ে আসা পানির অতিরিক্ত চাপের কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে একটি কালভার্ট ভেঙে গেছে।
শনিবার উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের নলবোনা খালের উপর নির্মিত কালভার্টটির এক অংশ ভেঙে পড়ে। এতে তিনটি ইউনিয়নের জনগণের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মের্সাস ঝুমা এন্টাইপাইজের স্বত্বাধিকারী ঠিকাদারের নামে স্থানীয় কয়েকজন লোকের সমন্বযে উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের নলবোনা খালের উপর ৩২ লাখ ৫৩ হাজার ৬৩০ টাকা ব্যয়ে একটি কালভার্ট নির্মাণ করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়। কালভার্টটির উপর দিয়ে উপজেলার শ্যামপুর, বিনোদপুর ও শাহাবাজপুর ইউনিয়নবাসী যাতায়াত করে থাকেন।
বিনোদপুর কলেজের শিক্ষক নাজমুল হক রাসেল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ভারী বর্ষণের কারণে কালভার্টটির এক অংশ ভেঙ্গে পড়ায় এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষ দূর্ভোগে পড়েছে।
শ্যামপুরের এমদাদুল আলী বলেন, বিনোদপুর ইউনিয়নে কালভার্টটি অবস্থিত হলেও পার্শ্ববর্তী শ্যামপুর, মনাকষা, শাহাবাজুপুর সহ কযেকটি ইউনিযনের মানুষ চলাচল করে থাকে।
কৃষক মাজিরুদ্দিন বলেন,ভারী বর্ষণ সীমান্তবর্তী জমিনপুর, কিরণগঞ্জ, কালিগঞ্জ, বিনোদপুর, টাপ্পু ও লছমানপুর গ্রাম হয়ে পানির অতিরিক্ত চাপে কালভার্টের এক পাশের মাটি ধসে যায়। ফলে নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় কালভার্টটির এক অংশ দেবে যায়। এ
বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন, এলাকার জলবদ্ধতার পানি নলবোনা খাল দিয়ে পাগলা নদীতে নেমে যায়। প্রায় ৯ বছর আগে কালভার্টটি নির্মাণের ফলে বিনোদপুর, শ্যামপুর ও শাহবাজপুর ইউনিয়নের মানুষের উপকারে আসে। সহজেই তারা যাতায়াত করতে পারতো। এমনকি কৃষকরা ক্ষেত থেকে ফসল সহজেই আনতে পারতো। কালভার্টটির এক অংশ দেবে যাওয়ার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনে অবহিত করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন ব্রীজটি নির্মানের সময় ব্যাপক অনিয়ম হওয়ায় এ দশা হয়েছে। একই কথা বললেন টাপ্পী গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আমিনুল হক চুটু, ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ঈদুল আহমেদ, জেনারুল ইসলাম, আব্দুল মোত্তালেন, হারুন অর রশিদ সহ অনেকে। তারা আরো জানান ব্রীজ নির্মাণে অনিয়ম হওয়ায় প ্রতিবাদ করায় নির্যাতনের শিকার হয়েছি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, সরজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজাহার আলী বলেন, শিগগির কালভার্টের পাশে মাটি ফেলে সংস্কার কাজ করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। যদিও পানির স্নোতের কারণে ফাটল দেখা গেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পুনরায় কালভার্ট নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ইয়াছিন আলী বলেন, শুক্রবার রাতে শিবগঞ্জে ১৭৫ মিলিমিটার।



