
রংপুর ব্যুরোঃ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড ইনচার্জ পরিবর্তন ইস্যুতে নবনিযুক্ত হাসপাতাল পরিচালকের বিধি বর্হিভূতভাবে হস্তক্ষেপে ফুঁসে উঠেছেন নার্সরা। এনিয়ে পরিচালক ও নার্সরা মুখোমুখি অবস্থান করছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে শনিবার পরিচালক অফিস করেনি বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রংপুর বিভাগের দেড় কোটি মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থল এ হাসপাতালের ৩২টি ওয়ার্ডের ইনচার্জ নার্সদের দায়িত্ব পালনের নির্ধারিত ২ বছর শেষ হয়েছে। নার্সিং ও মিডওয়াইফারী অধিদপ্তরের নিয়ম মোতাবেক, কোন ওয়ার্ড ইনচার্জের মেয়াদ দুই বছর হওয়ার দুই সপ্তাহ আগে লিখিতভাবে স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, নার্সিং সুপারভাইজার কিংবা নার্সিং সুপারিনটেডেন্টের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর কিংবা পরিবর্তনের জন্য আবেদন করবেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আবেদন প্রাপ্তির পর দায়িত্ব পরিবর্তন না করলে তিনি ওয়ার্ড ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে আপনা-আপনি অব্যহতি প্রাপ্ত বলে গণ্য হবে। অধিদপ্তরের এমন কঠিন নির্দেশনার আলোকে গত ২১ জুলাই হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক মোসলেমা খাতুন ওয়ার্ড ইনচার্জদের দায়িত্ব পরিবর্তন করে তালিকা প্রকাশ করেন। এরই মধ্যে গত ২৫ জুলাই হাসপাতালে যোগদান করেন নবনিযুক্ত পরিচালক ডাঃ শরীফুল হাসান। তিনি বিষয়টি জানতে পেরে গত ২৮ জুলাই রহস্যজনক কারণে পূর্বের ওয়ার্ড ইনচার্জদের বহাল রাখার জন্য সেবা তত্ত্বাবধায়ক মোসলেমা খাতুনকে চিঠি দেন। ওই চিঠিতে বলা হয়, সেবা তত্ত্বাবধায়কের স্বাক্ষরিত হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইনচার্জ পরিবর্তন বিষয়ক অফিস আদেশের সমস্ত কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হলো। একই সাথে এই ধরনের কোন আদেশ পুনরায় ইস্যু না করার জন্য সেবা তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ দেয়া হলো। পরিচালকের এ চিঠি ইস্যুর পর থেকে হাসপাতালে উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে।
হাসপাতালের স্বাধীনতা নার্সিং পরিষদের সভাপতি ফোরকান আলী বলেন, যেখানে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের পরিস্কার ব্যাখ্যা রয়েছে দু’বছরের বেশি কেউ কোন ওয়ার্ডের ইনচার্জ থাকতে পারবে না। নবনিযুক্ত পরিচালক মহোদয় যোগদান করে রহস্যজনক কারণে অধিদপ্তরের নিয়ম ভঙ্গ করছেন।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ মোকাদ্দেম হোসেন বলেন, শনিবার সকালে হাসপাতালে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করলে আমি ঢাকায় প্রশিক্ষণে থাকায় নবনিযুক্ত পরিচালকে মোবাইলে বিষয়টি অবগত করি। এ বিষয়ে নার্সদের কোন আপত্তি থাকলে লিখিত আকারে হাসপাতাল প্রশাসনকে জানানোর কথা তিনি বলেছেন।