
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জে হরতালের পক্ষে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা যুবদল।
সোমবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড টু বেউথা ফোরলেন রোডের ফায়ার সার্ভিসের সামনে থেকে শুরু করে বেউথা মোড় ঘুরে আবার ফায়ার সার্ভিসের সামনে এসে মিছিলটি শেষ হয়।
জানা গেছে, সারাদেশে বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টা হরতালকে সফল করতেই সাবেক ছাত্রদল সভাপতি ও জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে এই মিছিলে অংশ নেন জেলা যুবদলসহ সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল আওয়াল, সবুরউদ্দিন, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম জনি, জেলা যুবদলের সাবেক সমাজ কল্যাণ সদস্য দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এছাড়া সোমবার সকাল আটটার দিকে সিংগাইর উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব আল হাসানের নেতৃত্বে মানিকগঞ্জ টু সিংগাইর আঞ্চলিক রোডেও হরতালের পক্ষে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে রবিবার ভোর ৬টা থেকে সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপী সর্বাত্মক এ কর্মসূচি পালন করবে দলটির নেতাকর্মীরা। সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শেষে গত বৃহস্পতিবার এই হরতালের ডাক দেয়।
এছাড়াও গতকাল রোবরার সকাল ৭টার দিকে মানিকগঞ্জ-সিঙ্গাইর-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ডেফলতলী এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে জেলা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তারা হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
রাতে সিংগাইর আঞ্চলিক মহাসড়কে, ঢাকা আরিচার গোলড়া মহাসড়কে এবং মানিকগঞ্জ শহরের বেউথা এলাকার মশাল মিছিল করেছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নির্দেশনায় নির্বাচন কমিশন এক তরফা তফসিল ঘোষণা করেছে। এই ফরমায়েশি তফসিল দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যে তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। এ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত দেশপ্রেমিক জনগণ রাজপথ ছাড়বে না।
আজ সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, হরতালে নাশকতা প্রতিহত করতে জেলা শহর এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এ দিকে বিএনপির ঢাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচির আজ দ্বিতীয় দিনে ঢাকা আরিচা মহাসড়কে দূরপাল্লার কোনো গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। মহাসড়কে সীমিত সংখ্যক স্থানীয় বাস চললেও যাত্রী ছিল কম।