sliderস্থানীয়

মাধবপুরে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবসকে জাতীয় ভাবে পালনের দাবী

ত্রিপুরারী দেবনাথ তিপু, মাধবপুর প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের মাধবপুরে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ৪ এপ্রিল বেলা সাড়ে এগারোটায় উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বৈঠককে স্মরণ করে এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে।

হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন, মাধবপুর উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ও বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠন স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আহসান সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে তেলিয়াপাড়ার অবদান সারাদেশের জন্য গর্বের। জায়গাটি সংরক্ষণের জন্য সরকারী ভাবে মন্ত্রণালয়ে জায়গা চাওয়া হয়েছে। তিনি আরোও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে আছেন। তাদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বীরনিবাস স্মার্ট কার্ড এবং স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের সকল স্মৃতিস্তম্ভ বধ্যভূমি সংরক্ষণে বদ্ধ পরিকর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিন্টু চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ডেপুটি কমান্ডার গৌঠ প্রসাদ রায়, সহকারী পুলিশ সুপার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী, সহকারী কমিশনার ভূমি রাহাত বিন কুতুব, উপস্থিত ছিলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শ্রীদাম দাশ গুপ্ত সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হাসানুজ্জামান ওসমান, বাকীর বিল্লাহ সহ উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ ও উপজেলা সাংবাদিক বৃন্দ।
উল্লেখ্য ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবসকে জাতীয় ভাবে পালন করার দাবী মুক্তিযোদ্ধাদের।

১৯৭১ সালের এই দিনে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোয় স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উর্ধ্বতন ২৭ সেনা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ বৈঠকেই দেশকে স্বাধীন করার শপথ এবং যুদ্ধের রণকৌশল গ্রহন করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণকে ভাগ করা হয় ১১টি সেক্টর ও ৩টি বিগ্রেডে। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এমএজি ওসমানী পিস্তলের গুলি ছুড়ে আনুষ্টানিক ভাবে মুক্তিযুদ্ধে সূচনা করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button