slider

প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বাগদি সম্প্রদায়ের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

মো.নজরুল ইসলাম,মানিকগঞ্জ : বাগদি জনগোষ্ঠিদের জীবনমানের উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠন বারসিক দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলে কাজ করছে।
তারই ধারাবাহিকতায় আজ মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের শ্রীধরনগরে ৫০টি বাগদি পরিবারের শিশুদের জন্য খাতা-কলম উপকরণ সহায়তা প্রদান করা হয়।

বারসিকসহ জেলার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের দেয়া খাতা-কলম বিতরণে শিশুদের উৎসাহ দেখে বাগদি জনগোষ্ঠির মায়েরা বলেন-আমরা আমাদের শিশুদের পড়ালেখায় অনেক উপকার হবে। আমরা মেয়েদেরকেও লেখাপড়া করাবো,কম বয়সে মেযেদের আর বিয়ে দেবো না।

সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা খাতা ও কলম পেয়ে অনেক খুশি হয়। ভিন্ন ভাবে সক্ষম ব্যাক্তি মমতা বাগদি বলেন-আমাদের মা-বাবার সামান্য আয়ে তারা খাতা-কলম নিয়মিত কিনতে পারত না। নতুন খাতা-কলম পেয়ে তারা আনন্দে আত্মহারা।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঘাতক দালার নিমূল কমিটির মানিকগঞ্জ জেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট দিপক কুমার ঘোষ, বারসিকের আঞ্চলিক সমন্নয়কারি বিমল রায়, প্রাক্তন অধ্যক্ষ মো. মনোয়ার হোসেন, এ্যাডওযার্ড জামান সহ এলাকার মিলন বাগদি, সুনীর বাগদি, সুচিত্রা বাগদি, কাকলি বাগগি, মান্না বাগদি, শিপ্রা বাগদি প্রমুখ।

শিশুরা খাতা কলম উপহার পেয়ে মুখে যেন বাঁধভাঙা হাসি ফোটে। নবদ্বীপ বাগদি (২য় শ্রেনি) বলে, “নতুন খাতা-কলম লইয়া ইসকুলে যামু। আমার খাতা আছিল না। কাল খাতা কলম নিয়া ইসকুলে যাইতে পারুম”। ষষ্ঠ শ্রেনীর শিবু বাগদি হাতে নতুন খাতা পেয়ে বারবার ঘ্রান নিচ্ছে আর বলছে, মায়েরে নিয়া এই খাতা-কলম দেহামু।

মাধরী বাগদি ও বিশাল বাগদি পড়াশোনার পাশাপাশি আয়-রোজগারের জন্য স্কুল শেষে ভেড়া ও ছাগল পালনে বেরিয়ে পড়ে মাঠে দু’জনে চতুর্থ শ্রেনিতে লেখাপড়া করে ।
অভাবের সংসারে চলে তাদের দিন-রাত্রি।

উল্লেখ্য যে- ঘিওর উপজেলার শ্রীধরগঞ্জে আদিবাসি বাগদি সম্প্রদায়ের বসবাস।
বৃট্রিশ আমল থেকেই। আদিবাসিদের ভারতের বর্ধমান জেলা হতে ততকালিন জমিদার নীল চাষের জন্য এনে বসবাসের জায়গা করে দেন। সেই থেকেই বাগদি সম্প্রদায়ের শ্রীধরগঞ্জ বসবাস করে আসছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button