sliderবিবিধশিরোনাম

নির্যাতন বন্ধ ও রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে : ইউএনএইচসিআর

মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর এখনো ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। তারা এখনো নিরাত্তহীনতায় ভুগছে। যে কারনে রোহিঙ্গারা এখনো বাংলাদেশমুখী বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) সিনিয়র ইমার্জেন্সি কো-অর্ডিনেটর লুইস অভিন। গতকাল বুধবার রাতে কক্সবাজারে স্থানীয় একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে এক ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা এ কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, নিজেদের নিরাপদ রাখতে তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। তিনি বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গারা এখনো নিরাপদ বোধ করছেনা। তারা সব সময় নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বসবাস করছে। তারা রাখাইনে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারেনা। তারা সব সময় আতংকের মধ্যে থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পরিবারের সিংহভাগই যেহেতু বাংলাদেশে চলে এসেছে। এ কারনে রোহিঙ্গারা এখনো বাংলাদেশ সীমান্তমুখী। তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। রাখাইনের পরিস্থিতি যতোদিন উন্নতি না হয়, অথবা স্বাধীনভাবে থাকার পরিবেশ সৃষ্টি না হলে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসা থামবেনা।
তিনি জানান, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের আলোচনা চলছে। ইউএনএইচআর আশা করে মিয়ানমারের সাথে এমনভাবে বাংলাদেশের চুক্তি হোক যাতে রোহিঙ্গারা রাখাইনে মিয়ানমারের নাগরিক হিসাবে ফেরত যেতে পারে । তারা যাতে স্বাধীন ভাবে রাখাইনে বসবাস করতে পারে । এব্যাপরে ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবসনে সব সময় সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বলে তিনি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অতীতে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলেও তারা বার বার সীমান্তক্রস করে বাংলাদেশে চলে এসেছে। এবারের প্রত্যাবাসন চুক্তি যাতে আগের মতো না হয় সে প্রত্যাশার কথাও জানান তিনি। এতে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার, রাখাইনে স্বাধীন ভাবে চলাফেরার অধিকার নিশ্চিত ও রোহিঙ্গাদের উপর সহিংসতা বন্ধের দাবী জানানো হয়।
ব্রিফিংএ তিনি আরো বলেন,সম্প্রতিক পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে গড়ে সাড়ে সাত ভাগ অর্থ্যাৎ প্রায় ৭৫ হাজার রোহিঙ্গা চরম অপুষ্টিতে রয়েছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button