
মোঃ ইসলাম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ অবসরের ১৪ বছরেও মেলেনি বকেয়া বেতন ও অবসর ভাতা, তাই প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ঠাকুরগাঁওয়ে অনশনে বসেছেন ৭২ বছর বয়সী বেলায়েত হোসেন।
শুক্রবার সকাল দশটা থেকে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সামনে অনশনে বসেন তিনি ।
জানাযায়, বেলায়েত হোসেন ১৯৮৩ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন। ২০১০ সালে তিনি অবসরে যান তারপর থেকেই শুরু হয় জটিলতা। বিভিন্ন দপ্তরের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও পাননি কাঙ্খিত সমাধান। দীর্ঘ ১৪ বছরেও মেলেনি অবসর ভাতা। অর্থাভাবে রোগের শোকে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি।
অনশনে বসে বেলায়েত হোসেন জানান, ১৯৮৩ সালে প্রথম চাকুরীতে যোগদান করি গাইবান্ধা জেলায়। ১৯৯২ সালে ঠাকুরগাওয়ে বদলি হয়ে আসি এবং ঠাকুরগাঁও থেকেই ২০১০ সালে অবসরে যাই। এরপর অবসর ভাতার জন্য আবেদন করলে চিঠির মাধ্যমে আমাকে জানানো হয় আমার চাকুরীর বয়স ধরা হয়েছে ২০০০ সাল থেকে। বিগত ১৭ বছরের ভাতা ও অবসর ভাতা আমাকে দেয়া হবেনা। আমার সমসাময়িক সকল সহকর্মীরা সবাই ধারাবাহিকভাবে বেতন ভাতা ও অবসর ভাতা পেলেও অজানা কারনেই আমার ক্ষেত্রে ঘটেছে নিয়মের ব্যপ্তয়। আমার তো আর কোন পথ নেই, তাই প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণে অনশনে বসতে বাধ্য হয়েছি আমি।
ঠাকুরগাঁওয়ের সুশীল সমাজের প্রতিনিধি মাসুদুর রহমান বাবু জানান, বেলায়েত হোসেন ও আরো ১২ জন ১৯৮৩ সালে সরকারি প্রজেক্ট এর আওতায় চাকুরীতে যোগদান করে। পরে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক তাদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু বাকি ১২ জন ধারাবাহিকভাবে বেতনভাতা ও অবসরভাতা পেলেও বেলায়েত হোসেনের বকেয়া বেতনভাতা ও অবসরভাতা বন্ধ হয়ে রয়েছে। যা অমানবিক। তাই প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিলে বৃদ্ধ বেলায়েত হোসেন সুরাহা পাবে বলে আমরা মনে করি