sliderউপমহাদেশশিরোনাম

‘৫ টাকা চাওয়ায়’ ছেলেকে খুন!

বাড়ির সামনে দিয়ে ফুচকাওয়ালাকে যেতে দেখেই বাবার কাছে পাঁচটা টাকা চেয়েছিল কিশোর ছেলে। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলেকে মারপিট করতে শুরু করেন মদ্যপ বাবা। একপর্যায়ে মারধরে অজ্ঞান ছেলের গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দিলেন ঘরের আড়ার সঙ্গে। শুধু তাই নয়, ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে মারপিটে আহত হয়েছেন তার মা-ও।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহার জেলার দিনহাটা এলাকায় হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত কিশোরের বাবা লক্ষণ পাসোয়ানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মারধরে আহত নারীকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লক্ষণ পাসোয়ানের স্ত্রী আশা পাসোয়ান জানান, তাঁর ছেলে ১২ বছর বয়সী সঙ্গম দিনহাটার লালবাহাদুর শাস্ত্রী হিন্দি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে মাছ ধরতে যায় সে। তিনটি মাছ ধরে বাড়ি ফিরে মাকে রান্না করতে বলে সে। ছেলের কথা মতো মাছ কেটে রান্নার জন্য তৈরিও করে ফেলেছিলেন তিনি। এ সময় বাড়ির সামনে দিয়ে ফুচকাওয়ালাকে যেতে দেখে ফুচকা খেতে বাবা লক্ষণ পাসোয়ানের কাছে পাঁচ টাকা চায় সে।
আশা পাসোয়ান আরো জানান, মদ্যপ লক্ষণ ছেলের সেই আবদার না শুনে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। তখন তিনি ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। পরে তাঁকেও মারধর করেন লক্ষণ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লক্ষণের পিটুনি খেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে তাঁর ছেলে সঙ্গম। এর পর মদ্যপ লক্ষণ ছেলেকে টানতে টানতে পাশের ঘরে নিয়ে গিয়ে স্ত্রীর শাড়ি ও দড়ি দিয়ে ছেলের গলায় ফাঁস দেয়। তারপর ছেলেকে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে বেঁধে ঝুলিয়ে দেন। ঘটনার পর পালিয়ে যান তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে দিনহাটা থানা পুলিশের কাছে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন আশা। এর পর অভিযান চালিয়ে লক্ষণ পাসোয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কোচবিহারের পুলিশ সুপার (এসপি) অনুপ জয়সওয়াল বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতেই লক্ষণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আপাতত পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করছে পুলিশ। সুত্র: এনটিভি

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button