সিরিজের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হারলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ নারী ইমার্জিং দল। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তারা প্রোটিয়া ইমার্জিং নারী দলকে ৮ বল বাকি থাকতে হারিয়েছে ৪ উইকেটে। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা ফিরিয়ে এনেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) প্রিটোরিয়াতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। উদ্বোধনী জুটিতে ১৫৫ রান যোগ করেন দুই ওপেনার তাযমিন ব্রিটস ও রবিন সিয়ার্ল। তবে ব্রিটস আউট হন ৪৮ রান করে, সিয়ার্ল থামেন ৯৬ রানে। দুজনের কেউই পারেননি ব্যক্তিগত মাইলফলক ছুঁতে।
তিন নম্বরে নামা উইকেটরক্ষক তৃষা ছেতির ব্যাট থেকেও আসে ৫৬ রানের দারুণ একটি ইনিংস। কিন্তু এরপরের কেউই যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। যার ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে ৪২ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন খাদিজাতুল কুবরা। এছাড়া রিতু মনি ২ ও নাহিদা আক্তারের ঝুলিতে যায় ১টি উইকেট।
২৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ বলেই সাজঘরে ফিরে যান শারমিন সুলতানা। তবে এতে ভড়কে যাননি পরের ব্যাটসম্যানরা। উইকেটরক্ষক নুজহাত তাসনিয়া ৮ রান করে আউট হন দলীয় ৪১ রানের মাথায়।
শায়লা শারমিনকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়েন ওপেনার মুরশিদা খাতুন। কিন্তু দলীয় ৯৯ রানের মাথায় তিনি ফিরে যান ব্যক্তিগত ৪৮ রানেই। পরে শায়লা থামেন ৩১ রান করে। এরপর রিতু মনি ৪২ ও ফাহিমা খাতুন আউট হন ২০ রান করে।
৫৫ রানের অবিচ্ছিন সপ্তম উইকেট জুটিতে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়েই মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক নিগার সুলতানা ও শবনম মোস্তারি। দু’জনই অপরাজিত ছিলেন ২৯ রান করে।
রোববার (২৮ জুলাই) শেষ ম্যাচের ফলের ওপরই এখন নির্ভর করছে সিরিজের ভাগ্য।