রাহুল সরকার : স্কুল ছাত্রী পূর্ণিমা রানী রায় ওরফে সুন্দরী আতœহত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন হাজিরহাট থানার পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলার প্রধান আসামী সুরজিত ও তার সহযোগী শ্যামলকে গ্রেফতার করেছে।
রোববার দুপুরে রংপুরের উপ- পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) কাজী মুত্তাকিন ইবনু মিনানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সন্মেলনে এই তথ্য জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মনোহর বাবুপাড়া গ্রামের ফটিক চন্দ্র রায়ের মেয়ে মনোহর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী পূর্ণিমা রানী রায় ওরফে সুন্দরীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে একই এলাকার সুরজিত চন্দ্র রায়। সম্পর্কের এক পর্যায়ে পূর্ণিমা অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পূর্ণিমার বাবা ও মা ঢাকায় থাকার সুবাদে গত ২৫ জুলাই সুরজিত সকালে তার বাড়িতে এসে পুনরায় শারিরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। পূর্ণিমা সুরজিতকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে উভয়ের মাঝে ঝগড়া শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে সুরজিত তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। পরে ওড়না দিয়ে ঘরের তীরের সাথে ঝুলিয়ে রেখে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় সে তার মোবাইলটি পূর্ণিমার ঘরে রেখে যায়। পরে সেখান থেকে কৌশলে মোবাইলটি নিয়ে তার আত্মীয় শ্যামলের কাছে রেখে যায়। পূর্ণিমার স্বজনরা তার ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ উদ্ধার করে সুরত হাল করার সময় তাকে ধর্ষণ ও অন্তসত্ত্বা হওয়ার বিষটি জানতে পারে।
এঘটনায় নিহতের পিতা ফটিক চন্দ্র রায় বাদি হয়ে সুরজিতকে আসামী করে রংপুর মেট্রোপলিটন হাজীরহাট থানায় মামলা করে। পুলিশী অভিযানের এক পর্যায়ে সুরজিত আদালতে আত্মসর্মন করে। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শাহ আলম আদালতে রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত তাকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ৮ আগষ্ট শনিবার সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। জবানবন্দিতে সে জানায় গত সাত মাস ধরে পূর্ণিমার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক। শারিরীক মেলামেশার কারণে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। একারণে সে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করায় তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করে বলে জানায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।