sliderবিনোদন

সৈয়দ মুজতবা আলীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

মেসবা খান : আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম রম্যরচয়িতা সৈয়দ মুজতবা আলীর ৪৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
১৯৭৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সৈয়দ মুজতবা আলী ১৯০৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেটের করিমগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা সৈয়দ সিকান্দার আলীর চাকরির সুবাদে তার প্রাথমিক শিক্ষাজীবন কাটে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
১৯২১ সালে তিনি শান্তিনিকেতনে ভর্তি হন। ১৯২৬ সালে সেখান থেকে বিএ পাস করেন।
১৯৩২ সালে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বে গবেষণার জন্য তিনি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ১৯৩৪-১৯৩৫ সালে মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শেষ করে তিনি ১৯২৭ থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত কাবুলের একটি কলেজে অধ্যাপনা করেন।
১৯৩৫ সালে বরোদার মহারাজার আমন্ত্রণে বরোদা কলেজে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এর পর দিল্লীর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন।
পরবর্তীকালে বগুড়া আযিযুল হক কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের খণ্ডকালীন প্রভাষকের দায়িত্ব পালন করেন।
সৈয়দ মুজতবা আলী পঞ্চাশের দশকে পাটনা, কটক, কলকাতা ও দিল্লীতে আকাশবাণীর স্টেশন ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬১ সালে শান্তিনিকেতনে ফিরে বিশ্বভারতীর ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের রিডার হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬৫ সালে অবসর গ্রহণ করেন তিনি।
বহুভাষাবিদ সৈয়দ মুজতবা আলীর রচনা একই সঙ্গে পাণ্ডিত্য এবং রম্যবোধে পরিপুষ্ট। তার রম্যরচনার মধ্যে রয়েছে— পঞ্চতন্ত্র (১৯৫২) ও ময়ূরকণ্ঠী (১৯৫২)।
ভ্রমণকাহিনীগুলির জন্য বিশেষভাবে জনপ্রিয় সৈয়দ মুজতবা আলী। তার লেখা ভ্রমণকাহিনীর মধ্যে রয়েছে— দেশে বিদেশে (১৯৪৯) ও জলে ডাঙ্গায় (১৯৬০)।
সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখা উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে— অবিশ্বাস্য (১৯৫৪), শবনম (১৯৬০) ও শহরইয়ার (১৯৬৯)। ছোটগল্পের মধ্যে — চাচা কাহিনী (১৯৫২) ও টুনি মেম (১৯৬৪)।
তিনি ‘সত্যপীর’, ‘ওমর খৈয়াম’, ‘টেকচাঁদ’, ‘প্রিয়দর্শী’ প্রভৃতি ছদ্মনামে তখনকার শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখতেন।
সৈয়দ মুজতবা আলী লেখালেখির জন্য তিনি বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য— নরসিং দাস পুরস্কার (১৯৪৯), আনন্দ পুরস্কার (১৯৬১) ও একুশে পদক (২০০৫)।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button