sliderস্থানীয়

সুদের টাকার জন্য ব্যবসায়ীকে হত্যা, ৩ মাস ৭ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী সদরের কালাদরাপ ইউনিয়নের নুরুপাটোয়ারীর হাটে সুদের টাকার জন্য ব্যবসায়ী মো. সোহেলকে (২৮) পিটিয়ে ও বিষ খাইয়ে হত্যার ৩ মাস ৭দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমামুল হাফিজ নাদিমের উপস্থিতিতে পুলিশ কবর থেকে এই লাশ উত্তোলন করে।
নিহত মো. সোহেল উপজেলার পশ্চিম শুল্ল্যাকিয়া গ্রামের মো. আবুল কালামের ছেলে এবং নুরুপাটোয়ারীর হাটের মুদি ব্যবসায়ী।
জানা যায়, নিহতের পরিবারের আবেদনের আলোকে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ১ এর নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য এ লাশ উত্তোলন করা হয়।
সুধারাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নবীর হোসেন জানান, নিহতের বাবা বাদী হয়ে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে এ লাশ উত্তোলন করা হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ মামলার ১নং আসামি মো. ফারুক হোসেনকে গ্রেফতার করে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত (৩ আগস্ট) দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেলের মৃত্যু হয়। নিহতের পিতা আবুল কালামের ভাষ্যমতে, নুরুপাটোয়ারীর হাটের সুদের কারবারি নুর মোহাম্মদ দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় চড়া সুদে টাকা লেনদেনের ব্যবসা করে আসছে। গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নুর মোহাম্মদ মুদি ব্যবসায়ী সোহেলের দোকানে গিয়ে তার বাবাকে জানায় সোহেলের নিকট সুদের ব্যবসা বাবদ তিনি ৬/৭ লাখ টাকা পাবেন। পরের দিন সোমবার সকালে সোহেলের বাবা স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে নুর মোহাম্মদকে সুদের টাকা লেনদেনের বিষয়টি সমাধানের সিদ্ধান্ত দেন। ওই দিন সকাল ৯টার দিকে নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. ফারুক ও মোহাম্মদ রুবেলসহ অজ্ঞাত এক যুবক ব্যবসায়ী সোহেলকে নিজ বাড়ির সামনে থেকে মোটরসাইকেল যোগে তুলে নিয়ে সোহেলের মুদি দোকানের পিছনে রেখে শারীরিক নির্যাতনের পর বিষ খাইয়ে দেয়। ঘটনার পর খবর পেয়ে বাবা আবুল কালামসহ স্থানীয়রা সোহেলকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button