sliderমহানগরশিরোনাম

সিলেটে গৃহবধূ ধর্ষণ: আরেক আসামি অর্জুন হবিগঞ্জে গ্রেপ্তার

সিলেট মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলার আসামি অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি মামলার ৪ নম্বর আসামি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রবিবার হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম দূলর্ভপুর তাকে গ্রেপ্তার করে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
অর্জুন জকিগঞ্জ উপজেলার আট গ্রামের কানু লস্করের ছেলে।
মাধবপুর থানার ওসি ইকবাল হোসেন জানান, রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে দুর্লভপুর গ্রামের জনৈক দিলিপের বাড়ি থেকে অর্জুনকে গ্রেপ্তার করে সিলেটের একদল গোয়েন্দা পুলিশ। তিনি গ্রেপ্তারের বিস্তারিত মনতলা ফাঁড়ির ইনচার্জের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেন।
মনতলা ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই কাইযুমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অর্জুন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে বিস্তারিত কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এদিকে রবিবার সকালে এই মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার সাইফুর রহমান সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার সোনাপুরের চান্দাইপাড়ার মো. তাহিদ মিয়ার ছেলে। ঘটনার দিন রাত ৩টার দিকে এমসি কলেজের হোস্টেলে অভিযান চালিয়ে সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা ও একটি চাকু, দুটি লোহার পাইপ, প্লাসসহ বিভিন্ন জিনিস জব্দ করে পুলিশ। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলার একমাত্র আসামিও তিনি।
সুনামগঞ্জের এসপি মিজানুর রহমান জানান, সকালবেলা ছাতক থেকে ঘটনার প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি বলেন, সকালে ছাতক থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের জানামতে মামলার এজাহার অনুযায়ী আটক করা ব্যক্তিই প্রধান অভিযুক্ত।
এর আগে ধর্ষণের ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
শনিবার সকালে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে নগরীর শাহপরাণ থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- এমসি কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, রবিউল হাসান, তারেক আহমদ ও অর্জুন।
এজাহারভুক্ত আসামিদের সবাই ছাত্রলীগ কর্মী বলে জানা গেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির এক তরুণী স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসেন। এ সময় ছাত্রলীগকর্মী এম. সাইফুর রহমান ও শাহ মাহবুবুর রহমান রনির নেতৃত্বে স্বামী ও স্ত্রীকে পার্শ্ববর্তী কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায় আসামিরা। পরে সেখানে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে তারা। এ সময় ছাত্রলীগকর্মীরা ওই তরুণীর স্বামীর প্রাইভেটকারও ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের প্রাইভেটকার উদ্ধার করে। পরে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button