সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে জাপান
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি মোকাবেলায় সামরিক শক্তি বৃদ্ধির চিন্তা করছে জাপান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দেশটি তার দীর্ঘমেয়াদী শান্তিকামী দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করে ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরক্ষা কার্যক্রম জোরদারে নতুন প্রস্তাবনা হাতে নিয়েছে। এমনকি শত্রু ঘাঁটিতে পাল্টা হামলার সক্ষমতা বাড়াতে যুদ্ধোত্তর সংবিধানকে ঢেলে সাজানোরও চিন্তা করছে তারা।
জাপানের সামরিক বাহিনীতে বর্তমানে ২৪৭১৭৩ জন সেনা কর্মরত আছে। সেনার আকারে ছোট হলেও অস্ত্র-সস্ত্র দেশটির সামরিক বাহিনীকে এগিয়ে রেখেছে। জাপানের সামরিক বাহিনীতে ৬৭৮টি ট্যাংক, ১৫১৩টি উড়োজাহাজ এবং ১৬টি সাবমেরিন রয়েছে। দেশটির বার্ষিক সামরিক ব্যয় ৪১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য পার্ল হারবারে মার্কিন নৌবাহিনীর ওপর ইতিহাসের ভয়াবহতম হামলা চালিয়েছিল জাপান। এর ৭৬ বছর পর ফের পরাক্রমশালী সামরিক শক্তিতে পরিণত হতে যাচ্ছে দেশটি। সামরিক দিক থেকে টোকিও এতটাই শক্তিশালী হয়েছে যে, বিশ্বের যেকোনো দেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তারা লড়াই করার সক্ষমতা রাখে। জাপানের নৌবাহিনী বিশ্বের সেরা পাঁচ নৌবাহিনীর একটি। অর্থাৎ শক্তিশালী দেশগুলোকে চ্যালেঞ্জ করতেও প্রস্তুত হচ্ছে জাপান।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার ও সিএনএন