sliderপতাকা ক্যারিয়ার

সফল ব্যক্তিদের ১০০ জীবনচর্চা: অনুশীলন ২৮- ‘সম্পদের প্রতি মায়া কমান’

প্রিয় পাঠক, আপনাদের জন্য রয়েছে আমাদের এই নতুন আয়োজন। এখানে ‘দ্য সিল্ক রোড পার্টনারশিপ’ এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাইজেল কাম্বারল্যান্ড লিখিত একটি বইয়ের সাথে আপনাদের পরিচয় করানো হবে। বইটির শিরোনাম, ‘হান্ড্রেড থিংস সাকসেসফুল পিপল ডু: লিটল এক্সারসাইজেস ফর সাকসেসফুল লিভিং’। এবং আমরা বইটি অনুবাদ করছি “সফল ব্যক্তিদের ১০০ জীবনচর্চা” শিরোনামে। সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজনে প্রতিদিন এই বই থেকে একটি করে বিষয় আলোচনা করা হবে। আজকের আয়োজনে জেনে নিন সফল ব্যক্তিদের করা ২৮ নম্বর বিষয়টি সম্পর্কে। বইটি অনুবাদ করেছেন বুশরা আমিন তুবা।

নিজের কাছে সৎ থেকে জিজ্ঞেস করুন যে আপনি কেন দামী বাড়ি ও বিলাসবহুল গাড়ি চান?, প্রতীকী ছবি

অনুশীলন ২৮- ‘সম্পদের প্রতি মায়া কমান’
আপনার জাগতিক সম্পদ কখনোই আপনাকে মূল্যায়ন করতে পারেনা। আপনার আসল বিচার আপনার সম্পদ দ্বারা হয় না কখনো। আপনার সুন্দর গাড়ি, বাড়ি, টেলিভিশন, পোশাক এবং ব্যাংক ব্যালেন্স আপনার আনন্দের উৎস নয়। পৃথিবীর সকল জরিপ ও গবেষণায় এটাই প্রমাণিত হয়েছে। আপনার চাকচিক্যময় পোশাক ও বাড়ি-গাড়ি দেখে প্রথম কয়দিন হয়তো আপনি বেশ উচ্ছসিত বোধ করবেন, কিন্তু পরে? আপনি কী সত্যিই একজন সফল মানুষ হতে পারবেন?
আপনি যদি আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল হয়ে থাকেন, তবে জাগতিক সম্পদগুলো পেলে তারা আপনাকে বেশ আরাম-আয়েশ, আনন্দ ও পরিপূর্ণতার অনুভূতি দেবে। কিছু সময়ের জন্য এগুলো আপনার জীবন পরিবর্তিত করে দেবে। কিন্তু দিনের পর দিন আপনার সম্পদ যতই বাড়বে, ততোই আপনি সবকিছুর উপর আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।
নিজের কাছে সৎ থেকে জিজ্ঞেস করুন যে আপনি কেন দামী বাড়ি ও বিলাসবহুল গাড়ি চান। সফলতা এবং সম্পদের মধ্যে কিন্তু সুক্ষ একটি পার্থক্য আছে। সেটি বুঝতে চেষ্টা করুন। বড় বড় আশা করুন, নিজের পছন্দমতন সামগ্রী কিনুন কিন্তু নিজের অনুপ্রেরণার ব্যাপারে স্পষ্ট থাকুন। যেসব ব্যক্তি আদতেই সফল তাদের সেটি প্রমাণ করার জন্য জাগতিক সম্পদের প্রয়োজন হয় না।

নিজের ব্যাপারে ছোটখাটো অডিট করুন
আপনার আলমারী, গ্যারেজ, স্টোররুমে যা যা আছে সবকিছু নিয়ে একটি অডিট করুন। আপনার কয়টি পোশাক, বই কিংবা জুতো আছে তা গুনুন। আপনার ঘর এবং অফিস যদি এতোই অগোছালো হয়ে থাকে যে আপনি কোথা থেকে শুরু করবেন বুঝতে পারছেন না, সেক্ষেত্রে আপনার সত্যিই নিজের জিনিসপত্র নিয়ে এবার ভাবা উচিৎ। এবং তারপরেই আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার আদতে কি দরকার।
জীবনকে সাধারণভাবে সাজিয়ে তুলুন
নিজেকে প্রশ্ন করুন যে আপনি আসলে কি চান। জীবনকে সাধারণ ও সংক্ষিপ্তকরণের অনেক উপায় বেরিয়েছে এখন। নিজেকে প্রশ্ন করুন যে আপনার জন্য কী প্রয়োজনীয় এবং বেঁচে থাকতে হলে আপনার কী দরকার। আপনার অতিরিক্ত জুতো, খেলনা, পোশাক এবং আসবাবপত্র দান কিংবা উপহার দিয়ে দিন অন্য কাউকে।
নতুন একটা সিস্টেমের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারেন যে, আপনি যদি নতুন কিছু কেনেন তবে পুরনো কিছু দান করে দিতে হবে। তাহলে আপনার আশেপাশে অনেকেই কিন্তু উপকৃত হবে। আপনার পুরনো পোশাকগুলো সুন্দরভাবে গুছিয়ে নিন যেন সেগুলো কাউকে দান করে দেওয়া যায়।
পেছনে ফিরে তাকাবেন না কখনোই
নিজেকে প্রশ্ন করুন কেন আপনি এতোকিছু জমিয়েছিলেন? আপনি কোন ধাঁচে জিনিসপত্র কেনেন? আপনার কি কিনতে ভালো লাগে শুধু তাই কেনেন নাকি নির্দিষ্ট কোন উদ্দেশ্য আছে? আপনার কেনাকাটা করার কোন অভ্যাস বদলাতে হবে বলে মনে করেন? আপনি কিন্তু ইচ্ছা করলেই কিছু টাকা জমাতে পারেন এবং ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে পারেন।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button