sliderখেলা

শেখ জামালকে হারিয়ে সুপার লিগে মোহামেডান

বিপুল শর্মার অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স আর নাঈম ইসলাম ও মুশফিকুর রহিমের জোড়া ফিফটির ওপর ভর করে ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) জয়ের ধারায় ফিরেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় তারা ৬ উইকেট হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে।

এই জয়ের ফলে ১১ খেলায় ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগে খেলার পাশাপাশি পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আবারো উঠে এসেছে মুশফিকের মোহামেডান। অপরদিকে এ ম্যাচে হারায় সুপার সিক্সে খেলা হলো না মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের।

এরআগে শেখ জামাল প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৪২ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ৩২.২ ওভারে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে তরী ভেড়ায় মেহামেডান। উভয় দলের এদিন ছিলো লিগের ১১তম এবং প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচ।

১১ খেলা থেকে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম দল হিসেবে সুপার লিগে খেলা নিশ্চিত করলো মুশফিকের মোহামেডান। অপরদিকে সমান সংখ্যক খেলা থেকে ১০ পয়েন্ট পাওয়ায় সুপার সিক্সে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে শেখ জামাল। এরআগে প্রাইম দোলেশ্বর, লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব এবং আবাহনী লিমিটেড সুপার লিগে খেলা নিশ্চিত করে রেখেছিল।

আগেরদিনের বৃষ্টির কারণে বুধবার মোহামেডান ও শেখ জামালের মধ্যকার ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ের দুই ঘন্টা অর্থাৎ সকাল ১১টায় মাঠে গড়ায়। তাই ৫০ ওভারের ম্যাচটি নামিয়ে আনা হয় ৪২ ওভারে। বৃষ্টি স্নাত উইকেটের সুবিধা নেয়ার জন্য মোহামেডানের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। আর টসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় শেখ জামাল। আব্দুল্লাহ আল মামুন ১ রান করে আর অপর ওপেনার মাহবুবুল করিম ২৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।

এরপর মোহামেডানের বিপুল শর্মার ঘূর্ণি জাদুতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে শেখ জামালের। মার্শাল আইয়ুব ও দলনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ দুইজনই ২৭ রান করে আউট হয়ে যান।

নাজমুস সাদাত ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। আর শেষের দিকে জাবিদ হাসানের ২৮ রান আর শফিউলের ইসলামে অপরাজিত ২৫ রানের সুবাদে ৪২ ওভারে ১৮৭ রান তুলতে সমর্থ হয় শেখ জামাল। মোহামেডানের ভারতীয় ক্রিকেটার বিপুল শর্মা ২৪ রানে ৪টি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া নাজমুল হোসেন, হাবিবুর রহমান শুভাশীষ রায় ও নাঈম ইসলাম জুনিয়র প্রত্যেকে ১টি করে উইকেট পান।

শেখ জামালের দেয়া ১৮৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে দারুণ সতর্কতার সঙ্গে খেলা শুরু করে মোহামেডানের দুই ওপেনার। কিন্তু এজাজ আহমেদ ৮ রানে ও হাবিবুর রহমান ১৫ রান করে আ্উট হয়ে যান। পরে নাঈম ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতে মনোযোগী হন মোহামেডান অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। যদিও নাঈম ইসলাম ফিফটি করার পর ৫১ রানে মাহমুদুল্লাহর বলে এলবিডাব্লুর ফাঁদে পড়ে আউট হয়ে যান। পরে বিপুল শর্মাকে নিয়ে জয়ের বাকী কাজটুকু সম্পন্ন করেন মুশফিক। তবে দলের জয় থেকে মাত্র কিছু রান দূরে থাকতে বিপুল শর্মা ৩৪ রান করার পর ফিরে যান সাজঘরে।

পরে আরিফুল হককে সঙ্গে নিয়ে দলকে জিতে তবেই মাঠ ছাড়েন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে হার না মানা ৬৬ রান। তিনি ৮২ বলে ৭টি বাউন্ডারি ও ২টি বিশাল ছক্কার সাহায্যে এই রান করেন। শেখ জামালের মাহমুদুল্লাহ ৫২ রানে ৩টি এবং ১টি উইকেট পান আ¦ব্দুর রহমান। বল হাতে ৪টি উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ৩৪ রান করায় শেষ পর্যন্ত ম্যাচ সেরা হয়েছেন মোহামেডানের বিপুল শর্মা।

সুত্র: নয়া দিগন্ত

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button