sliderশিরোনামস্থানীয়

বদরগঞ্জে ত্রাণের জন্য নানা দপ্তরে আবেদন করেও সাড়া পাননি ১১৯ দুঃস্থ নারী

রংপুর প্রতিনিধি : রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত দুঃস্থ নারীদের সংগঠণ মধুপুর আদর্শ মহিলা উন্নয়ন সংস্থার ১১৯ সদস্য মানবিক সহায়তা হিসেবে বিভিন্ন দপ্তরে ত্রাণের জন্য আবেদন করেও ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে কোন সাড়া পাননি। তবে ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন- নিয়ম অনুযায়ী তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যায়নি। একারণে তাদের মাঝে ত্রাণ সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।
জানা যায়, মধুপুর আদর্শ মহিলা উন্নয়ন সংস্থা দুঃস্থ নারীদের একত্রিত করে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি কাজের মাধ্যমে তাদের স্বাবলম্বী করে থাকে। কিন্তু করোনা দুর্যোগে তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় নারীরা কর্মহীন হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় তারা ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে সাহায্যের জন্য হাত পাতেন। এতে ইউপি চেয়ারম্যান সাড়া না দেয়ায় বাধ্য হয়ে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে ত্রাণ চেয়ে লিখিত আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক বিষয়টি দেখার জন্য জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন। জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেলা প্রশাসকের নির্দেশ পেয়ে বিষয়টি দেখার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারকে নির্দেশ দেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন ফিসার আবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন। কিন্তু এত নির্দেশ থাকার পরও কোন কাজ হয়নি। সদস্যদের অভিযোগ- একের পর এক নির্দেশ আসায় ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষুব্ধ হয়ে কাউকেই ত্রাণ দেননি।
মধুপুর আদর্শ মহিলা উন্নয়ন সংস্থার সভানেত্রী মর্জিনা খাতুন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ত্রাণ তো দেননি বরং নানা নির্দেশ থাকায় অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে তাড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, কর্মহীণ নারীরা বর্তমানে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের রক্ষায় ত্রাণের কোন বিকল্প নেই। তাই জরুরী ভিত্তিতে তিনি সদস্যদের জন্য ত্রাণ সরবরাহের আহবান জানান এবং ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করেন।
এব্যাপারে জানতে চেয়ে মধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান আয়নাল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাদের গালাগাল করা হয়নি। বরং তারা যে জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার সরবরাহ করেছে সেই জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি হাতে নিয়ে সদস্যদের ইউপি কার্যালয়ে আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সভানেত্রী মর্জিনা খাতুন সেটি নাকরে একাই সদস্যদের নামে ত্রাণ নিতে চেয়েছিলেন। একারণে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button