রংপুর প্রতিনিধি : রংপুরের বদরগঞ্জে বোধন ও চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে ১১১ মণ্ডপে শারদীয় দূর্গোৎসব শুরু হয়েছে। এর মধ্যে বদরগঞ্জ পৌরসভায় ১০টি, রাধানগর ইউনিয়নে ৭টি, গোপিনাথপুর ইউনিয়নে ১৮টি, রামনাথপুর ইউনিয়নে ১৬টি, দামোদরপুর ইউনিয়নে ১৯টি, মধুপুর ইউনিয়নে ১৭টি, গোপালপুর ইউনিয়নে ৬টি, কুতুবপুর ইউনিয়নে ৬টি, কালুপাড়া ইউনিয়নে ৫টি, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে ১টি এবং লোহানীপাড়া ইউনিয়নে ৬টি মণ্ডপে শারদীয় দূর্গোৎসব পালিত হচ্ছে।
বদরগঞ্জ কেন্দ্রীয় বারোয়ারি কালী মন্দীরের পুরোহিত প্রশান্ত ব্যানার্জী বলেন, দেবী দূর্গা এবারে দোলায় চড়ে মর্ত্যে আগমণ করেছেন এবং গজে(হাতীতে) চড়ে প্রস্থান করবেন। তিনি বলেন, দেবী দূর্গা এবার দুর্ভিক্ষ আর মহামারীর বার্তা নিয়ে আসলেও সুজলা, সুফলা, শস্য-শ্যামলা ধরণীর বার্তা দিয়ে যাবেন।
এদিকে শারদীয় দূর্গোৎসবে যাতে কোন ধরণের বিঘœ না ঘটে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি সশস্ত্র আনসার সদস্যরা মণ্ডপ গুলোতে সার্বক্ষণিক টহল দেবেন- একথা জানিয়েছেন বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান হাওলাদার।
অপরদিকে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গোবিন্দ কুণ্ডু ও সাধারণ সম্পাদক সিতুয়া দাস বলেন, শারদীয় দূর্গোৎসবকে সার্বজনীন করতে ইতোমধ্যে মণ্ডপ পরিচালনাকারী সভাপতি ও সম্পাদকদের ডেকে বেশকিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্র না বাজানো, দর্শনার্থীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি নারী-পুরুষ দর্শনার্থীদের মণ্ডপে গমণ ও প্রস্থানের জন্য আলাদা ব্যবস্থাকরণ। রাত ১০টার পর মন্দীরে অবস্থান না করতে ও মণ্ডপে মেলা না বসাতে বলা হয়েছে। এছাড়া প্রতীমা বিসর্জনে শোভাযাত্রা ও নদীপাড়ে মেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারপরও নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে পুলিশ ও আনসার সদস্যের পাশাপাশি পরিচয়পত্রধারী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী নিয়োগ করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।