চিরিরবন্দর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মানসম্পন্ন বালাই নাশকের সঠিক ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে বালাই নাশক ডিলারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।
গত ২৭ মার্চ (রবিবার) বিকেল সাড়ে ৪ ঘটিকায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে এ মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠান হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোহরা সুলতানা’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মোঃ মাহবুবুর রশীদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ আশরাফ সিদ্দীকী ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকারী) মোঃ মনিরুজ্জামান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তাসহ উপজেলার বালাই নাশক ডিলারগণ, অগ্রগামী কৃষকবৃন্দ ও কোম্পানির প্রতিনিধিগণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মোঃ মাহবুবুর রশীদ বলেন, “কীটনাশক ফসল উৎপাদনের সময় আমরা ব্যবহার করব। তবে তা ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখতে হবে, তা যেন মানুষের একক বা দলগত স্বাস্থ্যহানি না ঘটায়, আমাদের প্রাণের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ করে, দূষণমুক্ত পরিবেশ বজায় রাখে এবং সর্বোপরি ফসলের ফলন বাড়াতে পারে। আমাদের কৃষক ভাইয়েরা জমিতে যেকোনো পোঁকা দেখলেই বিচলিত হয়ে যান। পোকাটি বন্ধুপোকা না শত্রুপোকা তা না ভেবে অযাচিতভাবে বালাই নাশক ব্যবহার করে পোকা মারার জন্য ব্যস্ত হয়ে পরেন। এটা কোনোমতেই ঠিক নয়। কেননা এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়, কৃষকের স্বাস্থ্যহানি ঘটে এবং ফসল উৎপাদনে খরচ বেঁড়ে যায়। শুরুতে কীটনাশক কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে, আমরা সঠিক পোঁকার জন্য সঠিক কীটনাশক অনুমোদিত বিক্রেতার কাছ থেকে এবং বিশেষ করে অনুমোদিত বালাই নাশক কিনছি কি না সেদিকে খেয়াল রাখবেন। তারপর কীটনাশকের লেবেল বা প্যাকেটে মেয়াদ লেখা আছে কি না এবং তা মেয়াদোত্তীর্ণ কি না। শুরুতেই এ শর্তগুলো অনুসরণ করলে পরবর্তী সময়ে কাজ আরো সহজ হয়”।