sliderস্থানীয়

কাপাসিয়ায় ৮ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা রেজাউল হকের সম্মাননা অনুষ্ঠান

কাপাসিয়া(গাজীপুর)প্রতিনিধি : আলহাজ্ব আবুল ফয়েজ রেজাউল হক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান গত মঙ্গলবার (১৬ মে) ১১ টায় গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলা রেজাউ্রল হক বি এম কলেজ ও ঘাগটিয়া শাহিনা রেজা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। আট প্রতিষ্ঠান ও এ্রলাকাবাসীর উদ্যোগে এ সম্মাননা অনু্ষ্ঠান হয়।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, রেজাউল হক ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট, রেজাউল হক ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট হাসপাতাল, লুৎফুননেছা কিন্ডারগার্টেন, ঘাগটিয়া এতিমখানা মাদ্রাসা, ঘাগটিয়া ছালামিয়া মাদ্রাসা, ঘাগটিয়া শাহীনা রেজা উচ্চ বিদ্যালয়, আলহাজ্ব রেজাউল হক মহিলা কলেজ ও রেজাউল হক বিএম কলেজ।

অনুষ্ঠানে রেজাউল হক বলেন, আমার জন্ম এই ঘাগটিয়ায় ১৯২৯ সনে। আমি বাবার একমাত্র সন্তান ছিলাম। আমার বাবার যথেষ্ট সম্পদ ছিলো। আমি বাবা মাকে বলেছিলাম আমি উচ্চ শিক্ষার জন্য লন্ডনে যাব। বাবা অসন্তুষ্ট হয়ে বললেন, চলে গেলে সম্পত্তি কে দেখবে। কিন্তু আমি উচ্চ শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে লন্ডনে যাই।

তিনি শিক্ষাথীদের উদ্যেশে আরো বলেন, এই ঘাগটিয়ায় একটা প্রাইমারি স্কুল ছিলো। টিনের ঘর, কযেকটা বেঞ্চ, একটা টেবিল একটি চেযার ছিলো। আমাদের ফকির আ. মান্নান সাহেবের বাড়ীর এক পন্ডিত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। পরে আমার মা আমাকে সাত বছর বয়সে ২৫ মাইল দূরে কিশোরগজ্ঞের একটি স্কুলে পড়তে নিয়ে যায়। আমি কাঁদতে কাঁদতে স্কুলে যাই। তবে আমার লেখাপড়ার প্রবল আগ্রহ ছিলো। পরে ইংরেজি স্কুলে পড়ি। গুরুদয়াল কলেজ, ঢাকা বিম্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার পর উচ্চ শিক্ষার জন্য লন্ডনে চলে যাই।

সিমিন হোসেন রিমি এমপি বলেন, ওনি (রেজাউল হক) আমাদের সামনে বসা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বলেছেন, প্রবল আগ্রহ লাগবে, ওই জায়গায় আকাশ ধরতে হবে। আমি কতটুকু যাব সেটা আমার চেষ্টা থাকতে হবে। লক্স্য থাকতে হবে, আমার মনে করতে হবে, আমি আকাঁশ ছুবো। সেই রকম ইচ্ছে ছিলো বলেই ওনি এই জায়গায় যেতে পেরেছেন।

রেজাউল হক কলেজ অধ্যক্ষ বদরুজ্জামান পারভেজ বলেন, আমাদের একটা একাডেমিক ভবণ ব্যবস্থা করে দেওয়ার অনুরোধ জানাই। তিনি বলেন, রেজাউল হক সাহেব আমাদের মাঝে বার বার ফিৃরে আসুক।

রেজা্উল হক এর ছেলে শহীদুর রেজা রন্জু বলেন, বাবা দেশ ছেড়ে চলে গেছে কিন্তু বাবা মন থেকে চলে যায় নাই। বাবা কাজ করেছেন্ ইউকে কিন্তু দেশের জন্য ভেবেছেন, চিন্তা করেছেন। বাবা সব সময় মনে করতেন, বাংলাদেশের ব্রাইট ফিউচার রয়েছে।

ইউএনও এ কে এম গোলাম মোর্শেদ বলেন, রেজাউল হক সাহেবের কথা অনেক শুনেছি। আমি আজ ওনাকে দেখতে এসেছি।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি এমপি অনু্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।

তাছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রধান, অধ্যক্ষ বদরুজ্জামান পারভেজ, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুল ইসলাম রিংকু, ইউনিয়ন আলীগের সভাপতি তারক হোসেন রিপন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button