
বিধান মন্ডল, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরে সালথায় নির্বাচনী সহিংসতা এড়াতে ও স্থানীয় এমপির সরাসরি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন মো. ওহিদুজ্জামান। তিনি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলাটির চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রোববার (১৯ মে) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘সালথা সহিংসতা প্রবণ এলাকা। আমি প্রতিপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে হেরে গেছি। এ মুহুর্তে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে আমার লোকজনের উপর হামলা ও সহিংসতা হতে পারে। এছাড়া স্থানীয় এমপি সরাসরি আমার প্রতিপক্ষ ওয়াদুদ মাতুব্বরকে আইনি সহায়তা থেকে শুরু করে সব সাপোর্ট দিচ্ছেন। তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।’
গত ২৩ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে নিজ স্ত্রীর নামে লাভজনক প্রতিষ্ঠান থাকায় বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে তিনি আপিল করলে সেখানেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। পরে একক প্রার্থী হিসেবে মো. ওহিদুজ্জামানকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনে পাঠান।
এরপর ওয়াদুদ মাতুব্বর মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। হাইকোর্ট গত ৫ মে তার রিট সরাসরি খারিজ করে দেন। পরে ওয়াদুদ মাতুব্বর আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ১৩ মে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন। এর বিরুদ্ধে অপর প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান আপিল বিভাগে আবেদন করেন। কিন্তু সে আবেদনে রোববার (১৯ মে) সাড়া দেননি আপিল বিভাগ। তাইতো আগামী ২১ মে ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তবে, রোববার (১৯ মে) সুপ্রিম কোর্টেরে আপীল বিভাগের রায়ের দিনেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন উপজেলাটির চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ওহিদুজ্জামান। তবে, এখন একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে থাকলেন মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর।
প্রসঙ্গত, আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ফরিদপুরের সালথা ও নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের ছয়দিন আগে গত বুধবার বিকেলে সালথা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।