সোহেল রানা, সাভার (ঢাকা)প্রতিনিধি : ঢাকার সাভারে দৈনিক যুগান্তরের ক্রাইম রিপোর্টর ইকবাল হাসান ফরিদ ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে। এসময় তার কাছে থাকা দুটি মোবাইল ফোন, একটি পাওয়ার ব্যাংক, হেডফোন, মানিব্যগ ও নগদ ২৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারী চক্র। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাকিজা এলাকায় সাবেক সাংসদ দেওয়ান সালাহউদ্দিন বাবুর বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ফরিদ শনিবার দুপুরে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ইকবাল হাসান ফরিদ দৈনিক যুগান্তরের অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদক হিসাবে কর্মরত আছেন, এছাড়াও তিনি অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) এর সদস্য। তার কর্মস্থল ঢাকা হওয়ায় তিনি সাভারের পৌর এলাকা ব্যাংক কলোনী মহল্লায় ভাড়া বাড়ি থেকে নিয়মিত ঢাকায় যুগান্তরের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে অফিস করেন। শুক্রবার দিবাগত রাতে তিনি কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে ছিনতাইকারীর কবলে পরেন।
ইকবাল হাসান ফরিদ বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার দিবাগত রাতে অফিস থেকে সাভারের উদ্দেশ্যে রওনা হই। রাত একটার দিকে ছাপড়া মসজিদ রোড দিয়ে পায়ে হেটে যাচ্ছিলাম। সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবুর বাড়ির সামনে পৌছালে অজ্ঞাত দুই ছিনতাইকারী আমার গতিরোধ করে আমার সামনে ও পিছন থেকে আমাকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এলোপাথারি মারধর করা শুরু করে। এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা আমার সাথে থাকা যাবতীয় মালামাল নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, পুলিশ ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষনের পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। আশাকরি অতিদ্রুত অজ্ঞাত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে পুলিশ।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) এর সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘সম্প্রতি সাভারে আইনশৃক্সখলা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌছেছে। সাভার পৌরসভার ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ড এলাকায় সম্প্রতি বেশ কিছু চুরি-ছিনতাাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। যা সকলের জন্যই উদ্বেগজনক। গতকাল আমাদের এক সহকর্মী ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন, কাল হয়তো আরেকজন একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে। এধরনের ঘটনায় দুর্বৃত্তরা হত্যাকান্ডের মত ঘটনাও ঘটায়। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি এলাকায় পুলিশের টহল বৃদ্ধির পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহবার জানান তিনি।