তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, জঙ্গি-জামায়াত-রাজাকারের সাথে জোট বেঁধে খালেদা জিয়া-বিএনপিচক্র রাজনৈতিক আত্মহত্যা করেছেন।
কাকরাইলে হোটেল রাজমনি ইশা খাঁর ব্যাংকোয়েট হলে সার্ক চলচ্চিত্র সাংবাদিক ফোরাম বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিশ্বময় বাঙালি চেতনার জাগরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির জন্য সবসময়ই শক্তির উৎস, দিকনির্দেশক ও গভীরভাবে প্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী সাম্প্রতিক রাজনীতির বিষয়ে বলেন, ডালপালার মতো জঙ্গি-জামায়াত-রাজাকারদের সাথে নিয়ে খালেদা জিয়া-বিএনপিচক্রই রাজনীতিতে জাতীয় চেতনাবিরোধী জঙ্গি-সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ। যারা বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা মানে না, তার স্বাধীনতার ঘোষণা, একাত্তরের গণহত্যা, ৩০ লাখ শহীদ এবং দেশের সংবিধানও মানে না। তাদের রাজনীতিতে হালাল করার কোনো ওকালতি চলে না।
ইনু বলেন, ‘জঙ্গি-জামায়াত-রাজাকারের সাথে জোট বেঁধে রাজনৈতিকভাবে আত্মহত্যাকারী খালেদা জিয়া-বিএনপিচক্র দেশে আবার পাকিস্তানের বীজ বুনতে চায়। সেকারণেই তাদের স্থান রাজনীতি ও ক্ষমতার বাইরেই।’
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ অধ্যয়ন করতে হলে সেসময়ের এ ভূখণ্ডের রাজনৈতিক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পূর্বাপর ঘটনা বিশ্লেষণ করতে হবে উল্লেখ করে মুক্তিযোদ্ধা ইনু এসময় ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের পরদিন থেকেই পূর্ব বাংলা স্বশাসনে চলে গিয়েছিল এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে বঙ্গবন্ধু তার সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব গ্রহণ করেছিলেন। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানিদের বর্বরতম গণহত্যার পর ২৬ মার্চ থেকে তিনি পাকিস্তানের সাথে স্বাধীন বাংলাদেশের যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। দুই রাষ্ট্রের যুদ্ধে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে।
আয়োজক সংগঠন সভাপতি রেদুয়ান খন্দকারের সভাপতিত্বে সভায় বীরমুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মনি, ঢাকা উত্তর আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি মোঃ মাইনুল ইসলাম খান নিখিল, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ফাউন্ডেশন সভাপতি ও দৈনিক নবচেতনা সম্পাদক লায়ন সাখাওয়াত হোসেন প্রমূখ বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।