sliderস্থানীয়

রাঙামাটিতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের সড়িয়ে নিচ্ছে প্রশাসন

মোঃ হাবীব আজম, রাঙামাটি: জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, প্রাথমিক ভাবে রাঙামাটি শহরে ২৮টি ঝুকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি জেলার অন্যান্য উপজেলাগুলোতেও উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
রাঙামাটিতে গত কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্খা থাকায় শহরের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের দ্রুত নিরাপদে সড়িয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। শুক্রবার (১৭ জুন) রাত ১২টার দিকে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের টিম, রেড ক্রিসেন্ট, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে ঝুকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন ও সেখান থেকে সাধারন মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যেতে নির্দেশনা প্রদান করেন এবং ঝুকিপূর্ণ এলাকা থেকে বেশ কিছু লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেন। এ বিষয়ে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ভারী বর্ষণের ফলে সম্ভাব্য পাহাড় ধসের প্রাণহানী ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। তিনি জানান, আমরা ইতিমধ্যে জরুরী সভা করেছি এবং রাঙামাটি শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যেতে সচেতনতা মূলক প্রচারণা ও মাইকিং করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকলের সাথে সমন্বয় করে টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে এবং বৃষ্টি হলেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এলাকায় গিয়ে তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
ভারী বর্ষণের কারনে শুক্রবার (১৭ জুন) রাত ১২টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত রাঙামাটি শহরের লোকনাথ মন্দির, শিমুলতলি, রূপনগর, মোনঘর এলাকাসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারিদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান রাঙামাটি জেলা প্রশাসক।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button