sliderখেলা

বিকেলে মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়া, সন্ধ্যায় আফগানিস্তান-দ.আফ্রিকা

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের ১৭তম দিনে শনিবার (১৫ জুন) দু’টি খেলা অনুষ্ঠিত হবে। দিনের প্রথম খেলায় ওভালে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়া। আর দ্বিতীয় খেলায় কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে ৯৬ ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়া ৬০, শ্রীলঙ্কা জিতেছে ৩২ ম্যাচ। পরিত্যক্ত হয়েছে ৪ ম্যাচ। বিশ্বকাপে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে উপমহাদেশের দুই দল ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতেছে ওয়ানডে সিরিজ। শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপ জিতেছে একবারই, ১৯৯৬ সালে।
কাগজে-কলমে শ্রীলঙ্কার খেলেছে চার ম্যাচ। যদিও মাঠে নেমে খেলার সুযোগ হয়েছে তাদের দু’টি। বাকি দুই ম্যাচে টসও করতে পারেনি ১৯৯৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা। যাতে লাভই হয়েছে তাদের, এই মুহূর্তে ৪ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে পঞ্চম স্থানে। টানা দুই ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলা হলে ১২দিন পর মাঠে নামবে শ্রীলঙ্কা।
৪ জুন আফগানিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচ খেলেছে দিমুথ করুণারত্নেরা। এরপর ব্রিস্টলে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিপক্ষে বৃষ্টিতে মাঠে নামা হয়নি তাদের। আজ সুযোগ হলে দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা। সামলাতে হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে।
ভারতের বিপক্ষে হারের ধাক্কা অ্যারন ফিঞ্চরা কাটিয়ে উঠেছে পাকস্তানের বিপক্ষে জয়ে। টন্টনের ম্যাচের জয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে নামতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। পাকিস্তানের বিপক্ষে আস্থা রাখা চার পেসার নিয়েই দেখা যেতে পারে তাদের। মার্কাস স্টোইনিস চোট কাটিয়ে উঠতে পারেননি এখনও।
শ্রীলঙ্কার জন্য সুসংবাদ হলো নুয়ান প্রদীপের অনুশীলনে ফেরা। বাংলাদেশের ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন এই পেসার। শাশুড়ির মৃত্যুতে দেশে যাওয়া লাসিথ মালিঙ্গা যোগ দিয়েছেন দলের সঙ্গে। তিনি খেলার মতো অবস্থায় থাকলে প্রদীপকে নিয়ে সম্ভবত ঝুঁকি নেবে না লঙ্কানরা।
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে অস্ট্রেলিয়া পরিষ্কার ফেভারিট। তবে ওভালের অতীত পরিসংখ্যান কিন্তু শ্রীলঙ্কাকে অনুপ্রাণিত করছে। ২০১৩ সালে লন্ডনের এই মাঠে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় করে দিয়েছিল লঙ্কানরা। নিশ্চিতভাবে ওই দিনটা ফিরিয়ে আনায় চেষ্টা করবেন মালিঙ্গারা। ক্রিকইনফো
এদিকে বিশ্বকাপ তো বটে, ওয়ানডেতেও প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দক্ষিণ ও আফগানিস্তান। আফগানরা আইসিসির পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ লাভ করে ২০১৭ সালে। সহযোগী সদস্য হিসেবে ২০১৫ বিশ্বকাপ খেলেছে তারা। তবে কখনও প্রতিপক্ষ হিসেবে পায়নি প্রোটিয়াদের। অন্য কোনো সিরিজেও দু’দল কখনো মুখোমুখি হয়নি। তবে টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে দু’বার। ২০১০ ও ২০১৬ সালে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১৯ বিশ্বকাপ শুরু করে ফেবারিট তকমা নিয়ে। কিন্তু উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর আর ওঠে দাঁড়াতে পারছে না তারা। একের পর এক হারই সঙ্গী হয়েছে প্রোটিয়াদের।
৪ ম্যাচের তিনটিতে হেরেছে ফাফ ডু প্লেসিসরা। তার মধ্যে ১০ জুন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে তাদের। মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে দশ দলের লড়াইয়ের তালিকায় নবম স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা।
তাদের নিচেই আছে আফগানিস্তান। ৩ ম্যাচে এখনও কোনও পয়েন্ট পায়নি গুলবাদিন নাঈবের দল। এখন পযর্ন্ত কোনও জয়ের মুখ দেখেনি আফগানরা। দু’দলের জন্যই তাই এটা প্রথম জয়ের দেখা পাওয়ারও লড়াই।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button