
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রা উদযাপনের জন্য তৈরি দুটি ‘মোটিফে’ আগুন দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, ওই শিক্ষার্থীর নাম রবিউল ইসলাম রাকিব। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন।
এদিকে, ডিএমপি কমিশনার এস এম সাজ্জাদ আলী জানিয়েছেন, আগামীকাল সোমবার (১৪ এপ্রিল) শোভাযাত্রা শুরুর আগেই নববর্ষের শোভাযাত্রা উদযাপনের জন্য তৈরি দুটি ‘মোটিফে’ আগুন দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হবে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোরে নববর্ষের শোভাযাত্রার জন্য বানানো ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ দুটিতে আগুন দিলে তা পুড়ে যায়। এর মধ্যে শান্তির পায়রা মোটিফটি আংশিক পুড়লেও ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতির মোটিফটি পুরোপুরি পুড়ে যায়।
আগুন দেওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যায়, শনিবার ভোরের দিকে চারুকলা অনুষদের দেয়াল টপকে আগুন দেয় এক ব্যক্তি। ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে এক যুবক মুখে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় চারুকলা অনুষদের তিন নম্বর গেটের দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করেন। তিনি কালো টি-শার্ট ও খাকি রঙের প্যান্ট পরা ছিলেন। ভেতরে প্রবেশ করে কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি প্রতিকৃতিতে আগুন লাগিয়ে দেয়াল টপকে বের হয়ে যান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রবিউল ইসলাম রাকিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আরবী বিভাগের শিক্ষার্থী। গত ৫ই আগস্টের আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে থাকতেন মাস্টারদা সূর্যসেন হলে। তখন তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের অনুসারী ছিলেন।
এ বিষয়ে আরবী বিভাগের শিক্ষার্থী শরীফ আহমেদ বলেন, আমরা সবাই তাকে খালি চোখে চিনতে পেরেছি। সে কয়েকদিন আগে ৭১ হলের সামনে এসে ছাত্রলীগের স্লোগান দিয়ে গেছে এবং প্রকাশ্যে পোস্ট করেছে। এ বিষয়ে জানতে রবিউল ইসলাম রাকিবকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। অভিযোগের বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা বিষয়টা গুরুত্বের সাথে দেখছি। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এখন তদন্ত চলছে।