
জনি আহমেদ,নিয়ামতপুর (নওগাঁ)প্রতিনিধ: নওগাঁর নিয়ামতপুরে বাণিজ্যিকভাবে বস্তায় আদা চাষ করে অধিক লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। বাড়ির আঙিনা, বাড়ির ছাদ, অনাবাদি ও পতিত জমিসহ বিভিন্ন জায়গায় বস্তায় মাটি ভরে কিংবা টবে আদা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। তা দেখে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে বস্তায় আদা চাষের।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চৈত্র থেকে বৈশাখ মাসে বস্তায় আদা রোপন করলে পৌষ বা মাঘ মাসে আদা উত্তোলন করা যায়। কন্দ পঁচা রোগ ও পোকামাকড়ের হাত থেকে আদা রক্ষায় নিয়মিত বিকালে ছত্রাকনাশক ও কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। আদা উত্তোলনের পূর্ব পর্যন্ত প্রতি বস্তায় খরচ হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। প্রতিটি বস্তায় এক থেকে দেড় কেজি আদার উৎপাদন হয়। এতে প্রতি বস্তায় খরচ বাদে আয় হবে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা।
জানা যায়, অল্প পরিচর্যা আর কম খরচে বস্তায় আদা চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে অনেক পরিবার। এছাড়া আদা চাষে সেচ, কীটনাশক ও সার প্রয়োগসহ অন্যান্য খরচ কম হয় বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। এদিকে বস্তায় আদা চাষের ক্ষেত পরিদর্শন করেন জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ অফিসার এ কে এম মনজুরে মাওলা ও অতিরিক্ত উপ-পরিচালক খলিলুর রহমান।
উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুর বালুকাপাড়া এলাকার কৃষাণী রোকসানা খাতুন জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে বাড়ির আঙিনায় পরিত্যক্ত বস্তায় মাটি ভরে আদা চাষ শুরু করেছি। বস্তায় আদা চাষাবাদ দেখে আশেপাশের অনেকের মাঝেই আদা চাষে আগ্রহ বেড়েছে।
উপজেলার হরিপুর গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, বাগানে পরীক্ষামূলকভাবে বস্তায় আদা চাষ করেছি। ফলন ভালো হওয়ায় কয়েকগুণ লাভের আশা করছেন তিনি। তাকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে এলাকার কৃষকেরা আদা চাষ করছেন।
এ বিষয়ে নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কামরুল হাসান বলেন, বস্তায় আদা চাষ করলে অতিবৃষ্টি বা বন্যায় ফসল নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না। একবার ফসল তোলার পর সেখানে আলাদা করে কোন সার ছাড়াই আরেকটি ফসল ফলানো যায়। ফলে খরচ একেবারেই কম হয়। মসলাজাতীয় এই আদার চাষে রোগবালাই নিরাময়সহ যাতে আদার ফলন ভালো হয়ে কৃষকরা লাভবান হয়। এ ব্যাপারে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।