নাটোর প্রতিনিধি : নিজেরা না খেয়ে বা কম খেয়ে হলেও পথ শিশুদের মুখে এক মুঠো খাবার তুলে দিতে পারলে ওরা ভীষণ তৃপ্তি অনুভব করে। নিজেরা সকলেই নানা সমস্যায় জর্জরিত পরিবারের সদস্য হলেও পথ শিশুদের বা পথে থাকা মানুষদের অনাহারে থাকা মুখ গুলো তাদের কষ্ট দেয়। অনাহারে কষ্ট পাওয়া মানুষের চাহুনি ওদের কচি মনে বেদনার ঝড় তোলে তাই সংঘবন্ধ হয় কিছু একটা করার জন্য। গড়ে তোলে প্রিজমিয়ান নেক্সট জেনারেশন (পিএনজি) নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। নিজেদের খরচের টাকা বাঁচিয়ে, বাহিরে চা নাস্তা বাদ দিয়ে সকলে মিলে কিছু টাকা যোগার হলেই ছুটে যায় নানা জায়গায় অনাহারির মুখে খাবার তুলে দিতে। জেলায় জেলায় ঘুরে ওরা রান্না করা খাবার বিতরণ করে। মঙ্গলবার নাটোর ষ্টেশন এলাকায় এমন কর্মসূচি বাস্তবায়নের সময় কথা হয় সংগঠনটির নাটোর ইউনিটের সমন্বয়কারী তানভীর আহম্মেদের সাথে। তানভীর জানায়, শহরের মহারাজা জে এন স্কুল এন্ড কলেজ চত্বরে নিজেরাই রান্না করে এসব খাবার বিতরণ করছে। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা রেডিও জকি ও তরুন লেখক শরিফা সুহাসিনী বলেন, সামান্য এক প্যাকেট খাবার হাতে পেয়ে অনাহারির মুখে যে প্রশান্তির হাসি দেখতে পাওয়া যায় পৃথিবীতের এর চেয়ে সেরা আনন্দের আর কিছুই নেই। তিনি বলেন, শোভা ও শ্রেয়াসহ কয়েকজন ছাত্রছাত্রী নিয়ে করোনার আগে যাত্রা শুরু হলেও এখন তাদের সংগঠনের পরিসর বৃদ্ধি পেয়েছে, দেশের ১১ জেলায় তাদের কর্মকান্ড সম্প্রসারিত হয়েছে। আয়োজক তরুন শিক্ষার্থী রেজাউল ইসলাম ও ইশরাত ইসলাম বলেন, আমরা সকলে শিক্ষার্থী, বেশি ব্যয় করার সাধ্য নেই। তবুও নিজেদের সীমিত সাধ্যে অন্তত এক বেলা অনাহারীর মুখে আহার তুলে দিতেই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্ঠা।