slider

নাজিরপুরে মাদ্রাসার নিয়োগে অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন

পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার ৩নং দেউলবাড়ী দোবরা ইউনিয়নে ডুমরিয়া নেছারিয়া বালিকা আলিম মাদ্রাসায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগে অধ্যক্ষ ও সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের ব্যপক অনিয়মের প্রতিবাদে মানব বন্ধন করেছে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি,ছাত্রী অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
শনিবার(৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ডুমরিয়া নেছারিয়া বালিকা আলিম মাদ্রাসার মাঠে এ মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করা হয়। প্রায় দুই শতাধিক জনসাধারনের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন ঐ মাদ্রাসার সদস্য মোঃ আবুল কালাম বেপারী, ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মোঃ আলম ফকির, মোঃ আঃ জলিল বেপারী,ও নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী(নৈশ প্রহরী) পদে মোঃকামালউদ্দীন,ও স্থানীয় কাইয়ুম বালি,নুরুল ইসলাম প্রমুখ।এ সময় বক্তারা ঐ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল হক ও সভাপতি মো. মোস্তফা কামাল তাদের মনোনিত প্রত্যেক প্রার্থীর কাছ থেকে ৫-৭ লাখ টাকার বিনিময়ে অযোগ্য লোক নিয়োগ দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
বিদ্যুৎসাহী সদস্য মো. আবুল কালাম বেপারী জানান,গত ২৬ আগষ্ট একজন নৈশ প্রহরী,একজন অফিস সহকারী কাম- কম্পিউটার অপারেটর ও অফিস সহকারী কাম- হিসাব সহকারী পদে পিরোজপুর ফাজিল মাদ্রাসায় লোক দেখানো সাক্ষাৎকার গ্রহন করে প্রার্থী নির্বাচন করেন। নির্বাচিতদের নিয়োগ প্রদানের জন্য গভর্নিং বডির সদস্যদের অনুমোদন প্রয়োজন। অবৈধ নিয়োগ বৈধ করার লক্ষ্যে অধ্যক্ষ নিয়োগ কমিটির সদস্যদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভুল বুঝিয়ে রেজুলেশন বহিতে স্বাক্ষর আনার জন্য হুমকি প্রদান করেন। আমাকে ও হুমকি দিয়ে স্বাক্ষর নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে গতকাল শুক্রবার নাজিরপুর থানায় উপস্থিত হয়ে এ ব্যপারে একটি সাধারন ডায়রী করি। নাজিরপুর থানার সাধারন ডায়েরী নং- ৫৮/২২,তাং- ২/৯/২২ইং
মানববন্ধনে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী(নৈশ প্রহরী) পদে মোঃ কামালউদ্দীন জানান, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আমাকে এই পদে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা নেয় তারপরও আমাকে নিয়োগ না দিয়ে অন্য এক প্রার্থীর কাছ থেকে অধিক টাকা নিয়ে নিয়োগ দিয়েছে।স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি আমার এই টাকা দেওয়ার বিষয় অবগত আছেন।
মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে ঐ অবৈধ নিয়োগ স্থগিত করে নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল হক জানান, আমি বৈধ ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। তবে নিয়োগ বোর্ডের যে সব সদস্য উপস্থিত ছিলনা তাদের রেজুলেশনে স্বাক্ষর দেয়ার জন্য আমি তাদের অনুরোধ করেছি।
মাদ্রাসার সভাপতি মো. মোস্তফা কামাল জানান, নিয়োগ পরীক্ষায় যারা উর্ত্তীন হয়েছে তাদেরকেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button