জয়পুরহাট প্রতিনিধি : নিখোজে একমাস পর জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার শিবপুর পূর্বপাড়া গ্রামের টয়লেটের কুপ থেকে বিউটি বেগম (৩৪) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই গ্রামের প্রবাসী শাহ আলমের ছেলে উজ্জল হোসেন (২৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল রাতে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ দামগড়া গ্রামের গৃহবধূ বিউটি বেগম প্রেমের টানে
ক্ষেতলালের শিবপুর পূর্বপাড়া গ্রামের উজ্জলের বাড়িতে আসে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে রাতে উজ্জল তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর বিউটি বিয়ের চাপ দেয়। এসময় উজ্জল রাতেই তাকে শ্বাসরোধে হত্যা পর নিজ বাড়ির পায়খানার কুপের ভিতরে পুতে রাখে। সেই থেকে বিউটি নিখোজ হয় ও বিউটির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর বগুড়া জেলা পুলিশ নিহতের হারানো মোবাইলের সুত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তি
ব্যবহারের মাধ্যমে উজ্জলকে বগুড়া শহর এলাকা থেকে শুক্রবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত উজ্জলের দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে শনিবার নিখোঁজের এক মাস সাত দিন পর উজ্জ্বলের বাড়ির টয়লেটের কুপে অভিযান চালিয়ে বগুড়া ও ক্ষেতলাল থানার পুলিশ বিউটি বেগমের খন্ড-বি খন্ড মরদেহ উদ্ধার করে।
ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ রওশন ইয়াজদানী বলেন, বিউটির পরিবারের অভিযোগ ছিল বগুড়ায়,। বগুড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের সহযোগীতা অভিযান চালিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানায় বিউটি বেগমের ভাই বাবুল বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আর লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত উজ্জ্বলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।