ঠাকুরগাঁওয়ে ফসলি জমি নষ্ট ও হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে জমি চাষাবাদে বাধা প্রদান ও ফসলি জমি গবাদি পশু দিয়ে নষ্ট করা এবং তা প্রতিরোধ করতে গেলে শিশু ও মহিলাদের জিম্মি করে হুমকি প্রদানের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে সংখ্যালঘু একটি পরিবার।
ভুক্তভোগী হেমন্ত কুমার বর্মনের পরিবারের আয়োজনে বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার ফারাবাড়ি এলাকার দক্ষিণ বঠিনা মন্দিরপাড়া গ্রামের নিজ বাসায় এ সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। এলাকার প্রভাবশালী ও কিছু দুষ্টু লোকের ভয়ে গত তিন দিন ধরে ভুক্তভোগী পরিবারটি বাড়ি থেকে বের হতে না পারায় নিজ বাড়িতেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী হেমন্ত কুমার বর্মনের ছেলের স্ত্রী সুচিত্রা বর্মন লিখিত বক্তব্য পাঠ করে জানান,মন্দির তৈরির জন্য ২ শতক জমি ও রাস্তা বাবদ দেড় শতক জমি দান করি এবং পরে গ্রামবাসীর সহ চেয়ারম্যানের অনুরোধে আরো দেড় শতক জমি মৌখিক ভাবে দান করি। মন্দিরের চারপাশে আরো ১ একর জমি বিচ্ছেন্নভাবে রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় এলাকাবাসী,পরেশ,অশ্বনি,বিরেশ,অর্জুন ও খোকেনরা মন্দিরের রাস্তা রেজিস্ট্রি করে চাইলে ও গাছ লাগাতে চাইলে আমি অসম্মতি জানাই।
পরে তারা আমার মন্দিরের পাশের জমিতে ফসল উৎপাদন করতে বাধা দেয়। সকল বাধা উপেক্ষা করে ৫৬ শতক জমিতে ধান লাগাই, এই ফসল তারা গবাদিপশু দিয়ে নষ্ট করে দেয় ও তার ভিডিও বানিয়ে উল্লাস করে। প্রতিবাদ করতে গেলে তারা হুমকি দেয় এবং বাড়ির শিশু ও মহিলাদের সহ আমাদেরকে ঘেরাও করে আটকে রাখে। উপায় না পেয়ে ৯৯৯ নম্বর কল করলে পুলিশ এসে আমাদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি ও সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা গত কয়েকদিন ধরে এক প্রকার গৃহ বন্দির মত জীবন যাপন করছি। এরকম ভীত পরিবেশ থেকে উদ্ধার ও এর সঠিক বিচার সহ ফসলের ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি।
এসময় হেমন্ত কুমার বর্মন ও তার পরিবারের লোকেরা উপস্থিত ছিলেন ।