নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরে ঐতিহ্য বাহী মিষ্টি কাঁচা গোল্লা জিআই পণ্য হচ্ছে। নাটোরের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি কাাঁচা গোল্লা নিবন্ধনের জন্য জেলা প্রশাসন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বুধবার বিকালে দিকে জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ এফিডেভিটের মাধ্যমে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর, শিল্প মন্ত্রণালয়, ঢাকা প্রতিনিধির হাতে জিআই পণ্য হিসেবে কাাঁচা গোল্লা তালিকা ভুক্তির জন্য এফিডেভিটের কপি হস্তান্তর করেন ।
জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ জানান, যেহেতু কাচা গোল্লার সাথে নাটোরের আবেগ জড়িত । একারণে আমার বিদায়ের পূর্বে আমি কাজটি শুর করেছি। আশা করছি অল্পদিনের মধ্যে জিআই পণ্য হিসেবে কাচা গোল্রা অন্তুরভুক্ত হবে। কারণ আদি কাচা গোল্লার প্রকৃতি পরিবর্তন করে বিভিন্ন স্থানে কাচা গোল্লা বিক্রি হচ্ছে। এই তালিকা ভুক্তির মধ্য দিয়ে নাটোরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ হবে।
জানা যায়,নাটোরের রানীভবানী মিষ্টি অনেক পছন্দ করতেন। তার রাজপ্রাসাদে নিয়মিত মিষ্টি সরবরাহ করতেন লাল বাজারের মিষ্টি বিক্রেতা মধুসুধন পাল। একদিন মধুসুদন পালের ২০ জন কর্মচারীর সবাই অসুস্থ হয়ে গেলো। দোকানে ২ মণ ছানা রাখাছিল। ছানাগুলো নষ্ট হয়ে যাবে ভেবে মধুসূদন ছানার উপর চিনির সিরা দিয়ে ভিজিয়ে দেন। এরপর এগুলো চেখে দেখেন এর স্বাদ হয়েছে অপূর্ব। এদিকে রানী ভবানীর লোকেরা মিষ্টি নিতে আসলে তিনি সিরা দেয়া ছানাগুলো পাঠিয়ে দেন। রানীভবানী এই মিষ্টি খেয়ে অনেক প্রশংসা করেন এবং এর নাম জানতে চান। মধুসূদন পাল তখন কাঁচা ছানা থেকে তৈরি বলে এর নাম দেন কাঁচা গোল্লা। এটিই ছিলকাঁচা গোল্লার ইতিহাস। এই গল্প নাটোরের সবার মুখেমুখে ফিরে। নাম গোল্লা হলেও এটি দেখতে গোল নয়। ছানা, চিনি ও এলাচ দিয়ে এই কাচা গোল্লা তৈরি করা হয়। এই কাঁচা গোল্লার সাথে জড়িয়ে রয়েছে নাটোর বাসীর আবেগ ।
আজ থেকে ২৫০ বছর আগে কাঁচা গোল্লা আবিষ্কৃত হয়ে আজো তার সুনাম বজায় রেখেছে। নাটোরের বিয়ে এবং বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং অতিথি আপ্যায়নে এই কাঁচা গোল্লা সরবরাহ করা হয়।