মোঃ মাহবুব আলম চৌধুরী জীবন : সিলেট গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউ/পি-র পর্যটক কেন্দ্রে ঘটনায় আরো ৩ জন সহ মোট ৫ জন আটক।
জাফলং পর্যটক কেন্দ্রে টিকেট কেনা কে কেন্দ্র করে পর্যটকদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে ২ জন কে আটক করা হয়। পরে আরো ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ তাদের আটক করে। তারা হলেন, তারা হলেন, গোয়াইঘাটের পন্নগ্রামের মৃত রাখা চন্দ্রের পুত্র লক্ষ্মণ চন্দ্র দাস (২১), ও ইসলামপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার পুত্র মোঃ সেলিম আহমেদ (২১)।বিকাল ৩টার দিকে দুজনকে আটক করেছিল পুলিশ।
তার পর আটক করা হয় নয়াবস্তি এলাকার ইউসুফ মিয়ার পুত্র সোহেল রানা, পশ্চিম কালীনগর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের পুত্র নাজিম উদ্দিন, ইসলামপুর রাধানগর গ্রামে মৃত সিরাজ উদ্দীনের পুত্র জয়নাল আবেদীন।
সব মিলিয়ে ৫ জন হামলাকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম। তিনি বলেন, জাফলং পর্যটন কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ডিবি পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ রয়েছে। যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এসপি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, পর্যটনদের উপর হামলায় জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।
ঘটনাস্থলে থাকা আমাদের প্রতিনিধি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, পুলিশ মোতায়েনের পর পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পর্যটকররা স্বস্থিতে জাফলং ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে লাঠি-শোটা নিয়ে পর্যটকদের উপর হামলা করে কিছু স্বেচ্ছাসেবী। হামলায় নারী, শিশু সহ অনন্ত ৫ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, টিকেট কেনাকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের সাথে কাউন্টার লোকদের বাকবিতন্ডা হয়।
এক পর্যায়ে কাউন্টারে থাকা স্বেচ্ছাসেবকরা লাঠি-শোটা দিয়ে পর্যটকদের পেঠাতে শুরু করে। তখন পাশে থাকা একজন তরুণী ও কোলে শিশু বাচ্চা নিয়ে একজন মহিলা এগিয়ে আসলে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় স্বেচ্ছাসেবকরা।