সোহেল রানা, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের ঘিওরে হিজুলিয়া হালদারপাড়া কালী মন্দির ভাংচুরের অভিযোগে মোঃ ইদ্রিস আলী(৪০)
নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের হিজুলিয়া গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে ইদ্রিস আজ ভোর বেলা মন্দিরে ভাংচুর করার সময় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে সেনাবাহিনী ও ঘিওর থানা পুলিশে খবর দিলে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
মামলার বাদী মন্দির কমিটির সভাপতি প্রদীপ কুমার হালদার অভিযোগে জানিয়েছেন, তার কাকীমা সরস্বতী হালদার (৫০), স্বামী-শংকর হালদার, সাং-হিজুলিয়া, থানা-ঘিওর, জেলা-মানিকগঞ্জ এবং প্রতিবেশী সন্তোষ হালদার (৭০), পিতা- মৃত দেবন্দ্র হালদার, সাং-হিজুলিয়া, থানা-ঘিওর, জেলা-মানিকগঞ্জ ১৮/০৮/২০২৪ তারিখ ভোর অনুমান ০৫.৪৫ ঘটিকার সময় ঘিওর থানাধীন হিজুলিয়া সাকিনস্থ হিজুলিয়া হালদারপাড়া কালী মন্দিরে ফুল নিয়ে পূজা করার জন্য যায়। কাকীমা সরস্বতী হালদার ও প্রতিবেশী সন্তোষ হালদার ফুল দিয়ে পূর্জা করার জন্য মন্দিরে প্রবেশ করে দেখতে পায় উক্ত আসামী মন্দিরে প্রবেশ করে কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করছে। প্রতিমা ভাংচুর করতে দেখে ডাকচিৎকার করলে আশপাশের লোকজন স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে। পরবর্তীতে মানিকগঞ্জ সেনাবাহিনী ও ঘিওর থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে একই সাথে সেনাবাহিনী ও ঘিওর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় লোকজন কর্তৃক আটককৃত উক্ত আসামীকে থানায় নিয়ে যায়। মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর
সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদে পূর্ব বিরোধের জের ধরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করে। আসামী ধর্মীয় বিশ্বাসের অবমাননা করে উক্ত কালী মন্দিরের ভিতরে অনধিকার প্রবেশ করতঃ মন্দিরের ভিতরে রক্ষিত কালী মায়ের ডান হাত, ডাকিনী মায়ের বাম হাতের কব্জি, যোকিনী মায়ের বাম হাত কব্জি ভাংচুরের ঘটনায় এজাহার দায়ের করে। ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকুমার বিশ^াস জানান,উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের হিজুলিয়া গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে মো: ইদ্রিস আলী’র(৪০)
বিরুদ্ধে এ বিষয়ে ঘিওর থানায় একটি এজাহার হয়েছে।