sliderস্থানীয়

গোবিন্দগঞ্জে নকল প্রসাধনী তৈরির কারখানায় অভিযান, ১০ হাজার টাকা জরিমানা

গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নকল প্রসাধনীতে ছেয়ে গেছে হাট বাজার। দেশি বিদেশী নামীদামী ব্যান্ডের প্রসাধনী তৈরি হচ্ছে যত্রতত্র। নকল প্রশাসনী ব্যবহারে বাড়ছে ক্যান্সার সহ নানা ত্বক বাহিত রোগ। এমন একটি নকল প্রসাধনী কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর গ্রামে। মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় একটি বসতবাড়ি তৈরি করা হয়েছে এই কারখানা। মঙ্গলবার সকালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের গাইবান্ধার সহকারী পরিচালক আব্দুস সালামের নেতৃত্বে ওই নকল প্রসাধনী তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ ঠিকানায় অমিল থাকায় কারখানার মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
অভিযানে নেতৃত্ব দানকারী জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম জানান, কারখানায় পাওয়া মোড়কের সাথে উৎপাদিত স্থানের মিল না থাকায় সর্তকমূলক ভাবে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে বিএসটিআইয়ের সাথে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, নকল প্রসাধনী কারখানায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে মাত্র ১০ হাজার টাকা জরিমানা করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী বলছে, যে নকল প্রসাধনী ব্যবহার করে ক্যান্সার সহ ত্বকের নানা রোগ হচ্ছে সেই কারখানাকে মাত্র ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে এক রকম নকল পণ্য তৈরির বৈধতা দেওয়াা সামিল। প্রতিষ্ঠানের মালিক আহসান হাবীব চপল তাঁর রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে নিজেকে রক্ষা করলো বলেও অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কারখানার মালিক চপল তাঁর রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে ছাড় পেয়ে গেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দেশী বিদেশী ব্যান্ডের নকল পণ্য তৈরি করে আসছেন।
এবিষয়ে মহিমাগঞ্জের শ্রীপতিপুর গ্রামের মানিক সাহা বলেন, এরকম নকল প্রসাধনী তৈরি করা কারখানাকে মাত্র ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা এক রকম হাস্যকর ব্যাপার। এই জরিমানা করে তাদের যেন নকল পণ্য তৈরি করার বৈধতা দেওয়া। তিনি আরও বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উচিত ছিল অবৈধ এই কারখানা সিলগালা করে মালিককে আটক করা।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button