দারুণ খেলেও স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভুটানের বিপক্ষে হোম ম্যাচে জয় পেল না বাংলাদেশ। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে পুরো ম্যাচ গোলের জন্য মরিয়া লাল-সবুজরা ফিনিশারের অভাবেই গোল শূণ্য ড্র করলো।
হোম ম্যাচে এগিয়ে থাকতে পারলে ভুটানের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী ম্যাচে চাপ থাকতো না। কিন্তু সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলো সেইন্টফিটের শীষ্যরা। তাই অ্যাওয়ে ম্যাচে বড় পরীক্ষাই দিতে হবে টম সেইন্টফিটের শিষ্যদের। এদিন বেলজিয়ান এই কোচ গোল পেতে এত মরিয়া ছিলেন যে শেষ পর্যন্ত মাঠে নামিয়ে দেন চারজন ফরোয়ার্ড। তপু, জীবন, জুয়েল রানা ও রনি এই চার ফরোয়ার্ডকে মাঠে নামিয়েও গোল মিসের মহড়ায় লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ।
১৬ মিনিটে সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন ফরোয়ার্ড শাখাওয়াত হোসেন রনি। ডানপ্রান্ত দিয়ে নিজের গতিকে কাজে লাগিয়ে ভুটান বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন রুবেল মিয়া। কিন্তু তার ক্রস পায়ে লাগাতে পারেননি রনি। যেখানে ২২ মিনিটে রুবেল মিয়ার ক্রসে হেড করেছিলেন শাখাওয়াত রনি। কিন্তু গোল লাইনের ওপর থেকে পা দিয়ে বল ফিরিয়ে দেন হরি। ৪১ মিনিটে আবারও দলকে হতাশায় ডোবান রনি। এবার গোলমুখে জটলা খেকে তিনি বল সোজা মারেন ভুটান গোলরক্ষক হরি গুরুঙের হাতে।
দ্বিতীয়ার্ধে এনামুল হক শরিফের বদলি হিসেবে মাঠে নেমে জুয়েল রানা আতঙ্ক সৃষ্টি করেন ভুটানি রক্ষণভাগে। ডানপ্রান্ত দিয়ে একের পর এক আক্রমণে তিনি দিশেহারা করেন ভুটানি ডিফেন্সকে। তবে বারবার বল গিয়ে ঠাঁই নেয় হরি গুরুঙের হাতে।
ফরোয়ার্ড সোহেল রানার পরিবের্তে ৬৩ মিনিটে মাঠে নামেন মেহেদি হাসান তপু। বাংলাদেশ খুঁজতে খাকে একজন গোল স্কোরারকে। ৬৬ মিনিটে বাংলাদেশ বক্সের বাম প্রান্তে ফ্রি-কি পেয়েছিল ভুটান। সাধারণত এ সব স্থান থেকে নেওয়া ফ্রি-কিক বিপদ ডেকে আনে বাংলাদেশের। তবে এ যাত্রায় শেরিং ওয়ার্দি বল মারেন সাইড পোস্টের বাইরে।
বাংলাদেশ এক পর্যায়ে মাঠে রাখে চারজন ফরোয়ার্ড, তপু, জীবন, জুয়েল রানা, রনি, এ চার ফরোয়ার্ডকে মাঠে নামিয়ে গোল খুঁজেন কোচ টম সেইন্টফিট, কিন্ত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। এর মধ্যে ৮০ মিনিটে চেমচোকে ম্যাচের সেরা ট্যাকল করে দলকে বাঁচান ডিফেন্ডার তপু বর্মণ। খেলার একেবারে শেষ মুহূর্তে দুটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন জীবন ও তপু। তাদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে।