অফিসে যেসব ওয়েবসাইট ব্রাউজ করা উচিত নয়
স্বাভাবিকভাবেই অফিসে অনলাইনে অনেক কাজ সারতে হয়। সে জন্য নানা ওয়েবসাইট ব্রাউজ করা লাগে।
তবে এমন কোনো ওয়েবসাইট ব্রাউজ করা উচিত নয়, যা আপনার কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। এমন ‘ইন্টারনেট সার্চ’ আপনার ব্যক্তিগত কম্পিউটার এর জন্যই বরাদ্দ রাখুন।
বিজনেস ইনসাইডার জানায়, কর্মক্ষেত্রে যে কম্পিউটার বা ল্যাপটপটি ব্যবহার করেন সেটা আপনার সহকর্মীরাও ব্যবহার করতে পারে, ফলে ব্যক্তিগত ব্রাউজের বিষয়গুলো তাদের কাছে প্রকাশ হয়ে যেতে পারে।
এতে গোপনীয়তা রক্ষা তো হবে না, বরং বিতর্কিত বা সমালোচিতও হয়ে যেতে পারেন অফিসে।
সার্চ হিস্ট্রি মুছে ফেললেও আপনি রক্ষা নাও পেতে পারেন। বেশির ভাগ অফিসের আইটি ডিপার্টমেন্ট কম্পিউটার ব্যবহার সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করেন। ফলে হিস্ট্রি মুছে দিয়েও আপনি রেহাই পাবেন না।
কাজের বাইরে অনেক কর্মী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি সময় কাটান। স্বাভাবিকভাবেই অফিসের ঊর্ধ্বতনেরা এটি ভালো চোখে দেখবেন না।
এ ছাড়া গান শোনা বা ইউটিউবে ভিডিও দেখার মতো বিষয়গুলো অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।
অনেকে ব্যক্তিগত ব্যবসার ওয়েবসাইট খুলে রাখে অফিসে, কেউ শেয়ারবাজারের নিয়মিত খোঁজ খবর রাখে। এ ছাড়া ডেটিং সাইট, খেলার সাইটে সার্চ তো আছেই। সাপ্তাহিক ছুটিতে ঘোরাঘুরির জন্য কোথায় যাওয়া যায়-সেটাও ঘাঁটতে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
এভাবে অফিসের কম্পিউটারে বসে কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই এমন কোনো ওয়েবসাইটে নিয়মিত ঢুঁ মারাটা আপনার ক্যারিয়ারের জন্য নেতিবাচক ধারণা তৈরি করবে।
পর্নোগ্রাফি ভিডিও দেখাটা একেবারেই নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দেয়া হবে। অফিসে এসেও অনেকের এ বদভ্যাস ছাড়ে না অনেকের।
এক প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট অফিস থেকে ৩ লাখেরও বেশি পর্নোগ্রাফি সাইটে সার্চ হয়েছে।
আপত্তিকর ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার জন্য আপনার চাকরি চলে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর শহরে এক কর্মচারী বরখাস্ত হয়েছেন মোট কাজের ৩৯ ঘণ্টাই পর্ন ভিডিও দেখার কারণে। এর মধ্যে একদিন কাজের সময়ে ৮ ঘণ্টার মধ্যে তিনি ৬ ঘণ্টা পর্ন দেখে সময় পার করেছেন।
আপত্তিকর ওয়েবসাইট সার্চ করতে গিয়ে সহকর্মীদের কাছে আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হতে পারে। অতএব এমন ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার আগে সতর্ক হতে হবে আপনাকে।