sliderস্থানীয়

বিদ্যুত লাইনের কারনে ইলিয়টগঞ্জ লক্ষ্মিপুর মহা শ্মশান কমপ্লেক্সের নির্মান কাজ বিঘ্নিত

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) সংবাদদাতা : বিদ্যুত লাইনের কারনে দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ লক্ষ্মীপরে মহা শশ্মান নির্মাণ কাজ বিঘিœত হচ্ছে। মহা শশ্মানটি বর্তমানে হিন্দু ধর্মের মৃত লোকদের দাহ করার একটি আধুনিক ব্যবস্থা, যদিও ১৯৯৫ সালে লোকজন মারা গেলে চুলায় ভস্ম করা হতো কিন্তু বর্তমানে এমপি মহোদয় এর সুপারিশে সরকারি বরাদ্দকৃত ও ব্যক্তিগত অর্থের বিনিময়ে আজ একটি আধুনিক কমপ্লেক্সে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে। আলোচ্য বিষয় কমপ্লেক্স পরিচালনা কমিটির সভাপতি শ্রী কৃষ্ণ কান্ত রায় ও সাধারণ সম্পাদক শ্রী চন্দন সাহার নেতৃত্বে কমপ্লেক্সটি মানব কল্যান বহুমুখী সামাজিক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেছেন। সামাজিক কর্মকান্ডে অংশ নিয়ে কমপ্লেক্সের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত অসিত বরন রায় (ডাবু রায়) এর স্বদিচ্ছাকে বাস্তবে রূপদান করে চলেছে পরিচালনা কমিটির সদস্য বৃন্দ। ২০১৯ সালে এটির সংস্কার কাজ শুরু হয় কিন্তু বর্তমানে কমপ্লেক্সের উপরে বিদ্যুত লাইন থাকায় সম্প্রসারণ কাজ বন্ধ রয়েছে এমনটি জানালেন সেক্রেটারি চন্দন সাহা। সংশ্লিষ্ট বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে আবেদনও করা হয়েছে লাইনটি পাশ দিয়ে সরিয়ে নেয়ার জন্য, তাদের দৃঢ় বিশ্বাস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আন্তরিক ভাবে দেখবেন। এই কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে যেকোনো ধর্মের লোকজনকে বিপদাপদে সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতা করার কথা জানালেন কমিটির অনেকেই। এখানে প্রায় দুইশ বছরের পুরনো বটগাছ নিয়ে অনেক স্মৃতি রয়েছে হিন্দু ধর্মের লোকজনের, বংশপরম্পরায় এই বটতলায় তাঁরা পুজাআর্চনা করে আসছে। বেশ কয়েকটি সরকারি বরাদ্দ এবং নিজেদের তহবিলের অর্থের বিনিময়ে প্রায় ৭৮ শতাংশ জায়গায় নানান ধর্মীয় প্রকল্প রয়েছে। দেহ ভস্মের সুউচ্চ টাওয়ারের কারনে কার্যক্রমের ধুয়া ধুলো চলে যায় বহু উপরে, ধর্মীয় আরাধনার বিভিন্ন বিশালাকৃতির রুম এমনকি শিশু বাচ্চাদের বিনোদন কিংবা আকর্ষণ করতে রয়েছে খেলাধুলার সরঞ্জাম। পাশের পুকুরের তিনটি পাড়ে সীমানা প্রাচীর ও আরো বৃক্ষরোপণ হবে এবং এরমধ্যে থাকবে প্রাতভ্রমণের ও বৈকালিক আড্ডার ব্যবস্থা, যা হবে সবার জন্য উন্মুক্ত। কমিটির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই কমপ্লেক্সটি মাদক এমনকি ধুমপান মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সহসভাপতি স্বজল রায়, কোষাধ্যক্ষ রনবীর সাহা ও সাংগঠনিক সম্পাদক যাদব সাহা জানান, সর্বধর্মের লোকের সহযোগিতা নিয়ে তাঁরা এখানে ধর্মীয় আরাধনার পাশাপাশি দাউদকান্দি, কচুয়া, চান্দিনা এবং মুরাদনগর উপজেলার নিকটতম মৃত লোকজনের দাহ কাজ সম্পন্ন করা হয়। দেশের যেকোনো অঞ্চলের হিন্দু ধর্মের লোক মারা গেলে এখানে বিনে পয়সায় দাহ কাজ করার সুযোগ রয়েছে, তবে মৃত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক উত্তম চৌধুরী, সদস্য প্রদীপ সাহা, সুমন সাহা বলেন, সভাপতি এবং সেক্রেটারির বলিষ্ঠ নেতৃত্ব কমপ্লেক্সের কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে, এমনকি পুরোহিত কিশোর চক্রবর্তী অত্যান্ত গ্রহনযোগ্য ব্যক্তি।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button