sliderআন্তর্জাতিক সংবাদশিরোনাম

উত্তাল হংকং, ৫ দিনে এক হাজার ফ্লাইট বাতিল

গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল হংকং। বৃহস্পতিবারও (১৫ আগস্ট) পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
গত পাঁচদিনে বিক্ষোভকারীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে প্রায় এক হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হংকং কর্তৃপক্ষ।
বিক্ষোভকারীদের সহিংস আন্দোলনকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে চীন। একইসঙ্গে, হংকং সীমান্তে অস্ত্রসজ্জিত সাঁজোয়া যানসহ আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করেছে দেশটি। তবে সীমান্তে চীনের সামরিক পদক্ষেপে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আলোচনার মাধ্যমে চলমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে জার্মানি।
অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল বিরোধীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বুধবার শাম শুই পো-তে বিদ্রুপাত্মক র‌্যালির আয়োজন করে কয়েক হাজার গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারী। এ সময় পুলিশ স্টেশনের দিকে লেজার লাইটের আলো ফেলে প্রতিবাদ জানায় তারা। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে লিপ্ত হয় আন্দোলনকারীরা।
এরমধ্যেই গত মঙ্গলবার বিমান বন্দরে সহিংস আন্দোলনের একটি নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছে গণমাধ্যম। এতে এক আন্দোলনকারীকে মাটিতে ফেলে দেয়ার জেরে এক পুলিশ সদস্যের ওপর বিক্ষোভকারীদের চড়াও হতে দেখা যায়। যদিও শুরু থেকেই, শুধুমাত্র আত্মরক্ষার্থে পুলিশি পদক্ষেপ নেয়ার দাবি করে আসছে হংকং পুলিশ।
এর আগে গণ আন্দোলনের মুখে সোম ও মঙ্গলবার বন্ধ হয়ে যায় হংকং বিমান বন্দরের কার্যক্রম। নির্দিষ্ট ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দুর্ভোগে পড়েন হাজারো পর্যটক। গত পাঁচদিনে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের কারণে প্রায় ১ হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হংকং কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে, বিমান বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে যে কোন মূল্যে আন্দোলনকারীদের দমানোর হুঁশিয়ারী দিয়েছে প্রশাসন।
হংকং বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন দফতরের সেক্রেটারি এডওয়ার্ড ইয়াউ বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই মর্মাহত। সহিংস আন্দোলন শুধু হংকংয়ের সম্মানই নষ্ট করেনি, আমাদের অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। তাই আমি সবাইকে আহ্বান করবো আপনারা এই সহিংস কর্মকাণ্ড বন্ধ করুন।’
হংকং সহকারী পুলিশ কমিশনার মাক চিন হো বলেনস, ‘হংকং আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ একটি কেন্দ্র। প্রতিবছর কয়েক কোটি যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় বিক্ষোভ মোটেই ঠিক নয়। সহিংসতাকারীদের বিচারের আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে বিচার নিশ্চিতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’
তবে হংকংয়ের চলমান আন্দোলনে চীনের সামরিক পদক্ষেপের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিক্ষোভকারীদের দমাতে চীন ব্যবস্থা নিতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button