
মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের স্মরণে সারা দেশে ৩০ লাখ তালগাছ রোপণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত ঈশ্বরদীর কৃষক দম্পতি সিদ্দিকুর রহমান কূল ময়েজ ও বেলী বেগম।
বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু জাতিয় কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষক সিদ্দিকুর রহমান কূল ময়েজ ঈশ্বরদী-ঢালারচর রেল লাইনের দুই ধার দিয়ে এই তালের গাছ রোপণ শুরু করবেন।
সিদ্দিকুর রহমান কূল ময়েজ তার পরিকল্পনা ব্যক্ত করে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন। তাদের স্মরণে ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বর্তমানে বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা পেতে এই চারা রোপণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ঈশ্বরদী-ঢালারচর রেল লাইনের দুই ধার দিয়ে তাল গাছের চারা প্রথম পর্যায়ে রোপণ করা হবে। এই কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির বিভিন্ন জেলার সদস্যরা অংশ গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
ময়েজ বলেন, ‘ইতোমধ্যে তালের বীজ সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। এই মৌসুমে ছয় লাখ তাল গাছ রোপণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে পাঁচ বছরে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির আগেই বাকি তাল গাছ রোপণ করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘তালগাছ বজ্রপাতের হাত হতে রক্ষা করে,বজ্রপাতে কৃষকেরই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটছে। কারণ কৃষকেরা মাঠে কাজ করার সময় ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাত কোথাও আশ্রয় নিতে না পারায় বজ্রপাতের আঘাতে নিমিষেই মৃত্যুবরণ করেন।’
বৃহস্পতিবার সকালে তালগাছ রোপণ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসআরআই-এর মহাপরিচালক ড. মো. আমজাদ হোসেন এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে এবং বজ্রপাত হতে রক্ষা পেতে তালগাছের বিকল্প নেই। মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মাহুতি দেয়া শহিদদের স্মরণে বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির রেল লাইনের দুই ধার দিয়ে তাল গাছ রোপণের উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, শুধু বজ্রপাত প্রতিরোধই নয়, তালের শ্বাস, পাকা তাল, তালের রস, তালের গুড় ও রস থেকে উৎপাদিত তাল মিশ্রী খাওয়াও যায়। ইত্তেফাক