sliderস্থানীয়

শেখ হাসিনা একজন তৃণমূল কর্মীবান্ধব নেতা : মমতাজ বেগম

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য দেশ বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম বলেছেন, আমি আপনাদের মতো শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে দাবি করি। সেই কর্মী হয়েই আপনাদের একটা কথা বলি, আপনাদের ওপর জননেত্রী শেখ হাসিনার অগাধ আস্হা ও বিশ্বাস রয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দেশরত্ম জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন তৃণমূল কর্মী বান্ধব ও জনবান্ধব নেতা। শেখ হাসিনা একটা কথাই বলেন, “আমার বিপদের সময়, দল পরিচালনার সময় এবং আমাকে ক্ষমতায় আনতে একনিষ্ঠভাবে সর্বক্ষণ যারা নিবেদিত প্রাণ, তারা হলো তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এই তৃণমূলের কর্মীদের জন্যই আমি বেঁচে আছি। এই কর্মীদের জন্যই আমি ক্ষমতায় আসি। এই কর্মীদের জন্যই আমি দল পরিচালনা করতে পারি। এই তৃণমূলের কর্মীরাই আমাকে বারবার দল পরিচালনার দায়িত্ব দিচ্ছে।” ৭ নভেম্বর (মঙ্গলবার) মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলজার হোসেন বাচ্চুর সভাপতিত্বে তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুকে দেখিনি, আমি শেখ হাসিনাকে দেখেছি। তাঁকে দেখতে দেখতে আমি তাঁর প্রেমে পড়ে গেছি। শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনাই কিন্তু আমার একমাত্র আইডল। আমি জানি, আপনারা যারা আওয়ামী লীগ করেন, কোনো কিছুর আশায় নয়, কোনো কিছুই পাওয়া জন্য নয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে শেখ হাসিনাকে ভালবেসেই আওয়ামী লীগ করেন। তাই আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে কিন্তু আপনাদেরই। এই শেখ হাসিনার বাইরে এবং নৌকার বাইরে আমরা কোনো কর্মী যাব না এ কথা কিন্তু আপনাদের মনে রাখতে হবে।

মমতাজ বেগম আরোও বলেন, “আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা সবাই মিলে নৌকার বিজয় এবং শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে আমাদের যেখানে যা করা দরকার আমরা তাই করব। যে যাই বলুক, আপনাদের কোনো ভয় নেই। যেকোনো মূল্যেই হোক আমাদের শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। আপনার এবং আপনার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য এবং দেশের উনয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার কোনো বিকল্প নেই।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান আব্দুর রব এঁর সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মানিকগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক মো. ইসমাইল হোসেন। এছাড়াও জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button