sliderস্থানিয়

মা ইলিশ নিধন রোধে বিষখালি নদীতে অভিযান, ১১দিনে ১৪ জনের কারাদন্ড, জাল ও ইলিশ জব্দ

মো:শাহাদাত হোসেন মনু,ঝালকাঠি: মা ইলিশ নিধন রোধে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বিষখালি নদী অভিযান চলছে। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সময়ে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ডিমওয়ালা মা ইলিশ নিধন করে চলছে মৌসুমি জেলেরা।

উপজেলায় সবচেয়ে বেশি নিধন হচ্ছে রাজাপুর উপজেলার দক্ষিণ সীমান্ত ঘেঁষা পাশর্^বর্তী বাখেরগঞ্জে উপজেলার নিয়ামতি এলাকার বিষখালি নদীর মোহনায়। সেখানে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অফিসের যৌথ অভিযানে ডিমওয়ালা ইলিশ রক্ষার এক অভিযানেই জব্দ করা হয়েছে ১৫টি কারেন্ট জাল।

নৌ পুলিশের নিরবতায় এই মোহনায় সব সময় মাছ নিধন হচ্ছে বলে এলাকাবাসির অভিযোগ রয়েছে, তবে নৌ পুলিশ বলছে, ট্রলার নষ্ট থাকার সুযোগে কিছু জাল নদীতে ফেলেছে জেলোরা। নদী তীরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের অভিযানের ট্রলার ও স্পীডবোর্ড পাহারা দিয়ে দিনে ও রাতে সুযোগ বুঝে কারেন্ট জাল ফেলছে অসাদু জেলেরা। রাতে, ভোররাতে, সন্ধ্যার দিকে এর প্রবনতা বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। উপজেলার দক্ষিণ সীমান্ত ঘেঁষা বাখেরগঞ্জের নিয়ামতি মোহনায় শতাধিক জেলে নিয়মতি জাল ফেলছে।

নিয়ামতি নৌ পুলিশের এসআই শাহাজাদা জানান, ট্রলারের মেশিন নষ্ট হওয়ার সুযোগে কিছু জাল ফেলেছিলো, তা জব্দ করা হয়েছে। এদিকে উপজেলার নাপিতের হাট, বাদুরতলা, উত্তরমপুর ও চল্লিশকাহনিয়া, পালট, বড়ইয়া এলাকা থেকে সন্ধ্যার পর ও ভোর রাতে অটো ও মোটর সাইকেলে বস্তা ও ব্যাগে করে উপজেলা শহরে ইলিশ সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেক পোষ্টের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত আরা মৌরি জানান, ইলিশ প্রজনন মৌসুমে নদীতে অবৈধভাবে মাছ ধরার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। দিন রাত দুটি টিমে অভিযান পরিচালনা করা হয়। উপডজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গৌতম মন্ডল জানান, প্রজননকালীন সময়ে কেউ যেন ইলিশ ধরতে না পারে, সে জন্য প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালানো হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১১ দিনে ১৪ জনকে কারাদন্ড, ১৩ লাখ টাকার জাল ও প্রায় ২ মণ ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। পরে জব্দ করা জালগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং উদ্ধারকৃত ইলিশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। রাজাপুর অংশের চেয়েও অন্য উপজেলার অংশগুলো মৌসুমি জেলেরা ইলিশ নিধনে বেশি উৎসাহী লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় মা ইলিশ রক্ষায় সকলের সহযোগিতা দরকার বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখতে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন দেশের সকল নদ-নদীতে ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুদ ও ক্রয়- বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময় নিবন্ধিত ২১শ ৪২ জন জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দিবে সরকার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button