sliderরাজনীতিশিরোনাম

ফ্যাসীবাদের তৈরি শ্রমিক সংগঠনের নিবন্ধন তদন্ত সাপেক্ষে বাতিল করতে হবে-এবি পার্টি

পতাকা ডেস্ক: দেশব্যাপি শ্রমিক অসন্তোষের পিছনে যেমন যৌক্তিক কারন রয়েছে – নূন্যতম বেঁচে থাকার মজুরী, শ্রম আইনের ভিত্তিতে অধিকার নিশ্চিত করা, তেমনি রয়েছে অনেক অযৌক্তিক দাবী – নারী কর্মীদের সাথে পুরুষের সংখ্যার সমতা, চাহিবা মাত্র চাকুরী প্রদান বা বেতন বৃদ্ধি ইত্যাদি। এবি পার্টি মনে করে গত ফ্যাসিবাদী আমলে শ্রমিক লীগকে পুনর্বাসনের নামে শত শত কৃত্তিম শ্রমিক সংগঠন তৈরী করা হয়েছে যেগুলোর তদন্ত সাপেক্ষে নিবন্ধন বাতিল করতে হবে বলে দাবি করেছে এবি পার্টি। আজ পতিত স্বৈরাচারের মদদে শ্রমিক বিশৃঙ্খলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের করনীয় বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আমার বাংলাদেশ পার্টি- এবি পার্টি। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক বিএম নাজমুল হক, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন ও সহকারী সদস্য সচিব আব্দুল হক সানী।

ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আমরা শিল্প পুলিশ ও সেনা সদস্যদের সহযোগীতায় শ্রমিক অঞ্চলে বহিরাগত প্রবেশ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই; সম্প্রতি যে সকল শ্রমিক ভাই-বোন নিহত হয়েছে, সেগুলোর তদন্ত সাপেক্ষে বিচার, পরিবারকে পুনর্বাসন ও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরনের দাবী জানাচ্ছি।
প্রফেসর ইউনুসের পরিচিতি ব্যবহার করে কুটনৈতিক উপায়ে কিভাবে আমরা আবার যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত জিএসপি সুবিধা পেতে পারি, অথবা ৫ শতাংশ শুল্কে নামিয়ে আনতে পারি, সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে। আমাদের বাৎসরিক পোশাক রপ্তানী খাত থেকে আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারে উত্তীর্ন করতে হবে।
পতিত সরকার ও তাদের মদদপুষ্টদের সহযোগীতায় যারা শিল্পাঞ্চলে অরাজকতা তৈরী করছে, তাদেরকে সনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা জরুরী। তবে এতে নিরীহ কোন প্রতিবাদকারী শ্রমিক যেন হেনস্তার স্বীকার না হয়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। ঝুট ব্যবসার দখলদারিত্বকে নিয়মের মধ্যে আনা অতীব জরুরী – সেটা উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কেনা বেচা হতে পারে (অকশন/টেন্ডার)। জ্বালানী নিরাপত্তার পাশাপাশি সুতা ও তুলা সহ ভারতের ওপর আমদানী নির্ভরতা কমিয়ে বিকল্প বাজার বা সক্ষমতা তৈরী জরুরী। এ সকল শিল্পে ভারত, শ্রীলঙ্কা সহ যে সকল দেশের বিদেশী কর্মচারী আছে, তাদেরকে পর্যায়ক্রমে কমিয়ে দেশীয় স্টাফ নিয়োগ দেবার দাবী করছি। চাকুরীর শুরুতে শ্রমিকদের প্রশিক্ষন দিয়ে শ্রম আইন ভিত্তিক মূল্যবোধ শেখানো, আলোচনার ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান করবার অনুশীলন এবং বছর শেষে মালিক-শ্রমিক মুনাফা ভাগাভাগির দাবী করছি; এতে শিল্পের প্রতির সকল পক্ষের দরদ তৈরী হবে এবং অসন্তোষ কমে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সহকারী সদস্য সচিব এম আমজাদ খান, মাসুদ জমাদ্দার রানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার ফারুক, আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্য সচিব আহমাদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুর রব জামিল, যুবপার্টি গাজীপুরের সদস্য সচিব সুলতানা রাজিয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, মশিউল আজম সাকিব, এনামুল হক, শরন চৌধুরী, সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, আমেনা বেগম, রুনা হোসাইন সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button