
সিরাজুল ইসলাম, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) : “কতটুকু অশ্রু গড়ালে হৃদয় জলে সিক্ত, কত প্রদীপ শিখা জ্বালালেই জীবন আলোয় উদ্দীপ্ত, কত ব্যথা বুকে চাপালে তাকে বলি আমি ধৈর্য্য, নির্মমতা কতদূর হলে জাতি হবে নির্লজ্জ’’
বুধবার (২৩ আগস্ট) জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম এমপির স্বামী ডা. এএসএম মঈন হাসান তার চঞ্চল মঈন (ঈযধহপযধষ গড়ুববহ) নামের ফেসবুক আইডিতে এমনই আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন । সেখানে তিনি আরো লিখেন “আজ ২৩ আগস্ট আমাকে তোলপাড় করার দিন”। লিখার সাথে তিনি আপলোড করেন ১ বছর আগে তার ওপর হামলার বেশ কয়েকটি ছবি ও থানায় দায়ের করা অভিযোগের কপি। ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- হামলায় আহত অবস্থায় নিজের ছবি, ভাংচুরকৃত গাড়ীর ছবি ও এমপি মমতাজের পাশে গোল চিহ্নিত হামলাকারী নয়নের ছবি। সেই সঙ্গে চাঞ্চল্যকর জেপি নেতা সালাম বাহাদুর হত্যার কিলার হিসেবেও নয়নের ছবি আপলোড করা হয়েছে সেখানে। ছবিটির ক্যাপশনে ডা. মঈন লিখেছেন “হত্যার মতো ভয়ংকর অপরাধ করেও তারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়”।
জানা গেছে, ওই ঘটনার পর থেকে মমতাজ চক্ষু হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ডা. এএসএম মঈন হাসানকে ওই হাসপাতালে এবং এমপির পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানেও আর দেখা যায় না। এমনকি মমতাজ বেগম আয়োজিত গত মধুর মেলা ও মায়ের মেলাতেও তাকে চোখে পড়েনি। সূত্র জানায়, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে মমতাজ চক্ষু হাসপাতাল থেকে প্রায় দেড় বছর আগে নিজেকে গুটিয়ে নেন ডা. এএসএম মঈন হাসান চঞ্চল। এরপর নিজের মালিকানাধীন ডা. মঈন আই কেয়ার নেটওয়ার্ক পরিচালিত সিংগাইর উপজেলার বাস্তা বাসষ্ট্যান্ডের পূর্বপাশে বিন্যাডাঙ্গীতে “রোকেয়া চক্ষু সেন্টার” নামে প্রতিষ্ঠান খুলেন তিনি। গত বছরের ২৩ আগস্ট বিকেল ৫ টার দিকে প্রতিষ্ঠান থেকে ঢাকায় ফেরার পথে ডা. মঈন হাসান হামলার শিকার হয়ে আহত হন। পরে ২৬ আগস্ট তিনি নিজে বাদী হয়ে নয়নসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামী করে সিংগাইর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
দীর্ঘ ১ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো বিচার না পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন এমপি মমতাজের স্বামী ডা. মঈন হাসান। তবে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম বলেন, ফেসবুকে ডা. মঈনের স্ট্যাটাসের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তার ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা অভিযোগের ব্যাপারে পুলিশ বলতে পারবেন। সিংগাইরে ডা. মঈনকে দেখা যায় না এমন প্রশ্নের উত্তরে মমতাজ বেগম বলেন, তিনি এখন ঢাকায় থাকেন ও মানিকগঞ্জে বসেন।
সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, ওই সময়ে আমি এ থানায় ছিলাম না। যে কারণে কিছু বলতে পারছি না।