ফুলবাড়ীতে অটোচালক হত্যা মামলার দুই আসামী গ্রেপ্তার
আশিকুর রহমান লিমন (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে অটোরিক্সা চালক আব্দুর রাজ্জাক হত্যায় মামলায় জড়িত তার দুই বন্ধুকে গ্ৰেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্ৰেপ্তাররা হলেন, উপজেলার আটিয়াবাড়ি গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুর রশিদ রোকন (২৩) ও মৃত. সোলদার আলীর ছেলে মমিনুল ইসলাম মিজান। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আব্দুর রশিদ রোকনকে উপজেলার আটিয়াবাড়ী গ্রামের তার বাড়ির সামনের অটোমেরামতের দোকান থেকে এবং অপর জন মমিনুল হক মিজানকে তার শশুর বাড়ি নজর মামুদ থেকে গ্ৰেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে ছিনতাই হওয়া অটোরিক্সাটি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের ফকিরটারী গ্রামের জনৈক আব্দুল হামিদের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, নিহতের লাশ উদ্ধার করার পর থেকে আসামী গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন কৌশলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। আব্দুর রাজ্জাক নিহত হওয়ার পর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়নি। পরে এই ফোন নম্বর ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে আসামীদের গ্ৰেপ্তার করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার তারা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক রাহাত আলী জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা জানায়,পাওনা টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
উল্লেখ্য,গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় আব্দুর রাজ্জাককে গলা কেটে হত্যা করে আসামীরা।পরে তার লাশ ভাঙ্গা মোড় ইউনিয়নের পূর্ব রাবাইতাড়ি গ্ৰামে পাট খেতে রেখে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।স্থানীয়রা পাট খেতে লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত আব্দুর রাজ্জাক (৩৪) উপজেলার নওদাবস গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। তিনি এক সন্তানের জনক।
ফুলবাড়ী থানার মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রাহাত জানান, দুজনকে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান জানান, গ্ৰেপ্তারকৃতদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।