শরীয়তপুর প্রতিনিধি: বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের সর্বশেষ প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। ব্যয় সংকোচননীতি অবলম্বন করে সর্বশেষ চূড়ান্ত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৭৭০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এখানে প্রায় ১ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শরীয়তপুরের জাজিরা সার্ভিস এরিয়া-২ এর কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি পদ্মা সেতু পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল সেতুতে ৫৩০ কোটি টাকা, নদী শাসনে ৮০ কেটি টাকা, সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ায় ১৭৮ কোটি টাকা, ভূমি অধিগ্রহণ ১০৩ কোটি টাকা ও অন্যান্য সকল ব্যয় ১ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা সাশ্রয় করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যুৎ খাতে বিভিন্ন অনিয়মের ফলে যে অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে, তা নিরসনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শুধু সংখ্যাগত উন্নয়ন হলেই হবে না, গুণগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, আমি মূলত খুলনা যাচ্ছি রূপসা বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করতে। খুলনার রুপসায় ৮৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্যাস সরবরাহ নাই। কিন্তু উন্নয়ন দেখানো হয়েছে, বিভ্রান্ত করা হয়েছে যে জিডিবি বাড়ছে। গ্রোথ বাড়ছে। কিন্তু এ গ্রোথ তো কাজের না। যদি বিদ্যুৎ না থাকে তাহলে তো এ গ্রোথ একটা সংখ্যা মাত্র। এশিয়ান ডেভলোপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) থেকে লোন নিয়ে ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প রূপসা বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই বিপুল অংকের ব্যয় তো দেশের জনগণকে পরিশোধ করতে হবে। রূপসা বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরদর্শন শেষে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছিলেন ব্যয় কমানোর জন্য। আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়গুলোতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সকল ক্ষেত্রে ব্যয় কমিয়ে আনবো। এর মানে একই কাজ কমমূল্যে করবো। একই টাকা দিয়ে আমরা বেশি পরিমাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবো। এ থেকে বুঝা যায়, আমাদের এখানে যদি ভালো সরকার থাকতো তাহলে হয়তো আমরা পদ্মা সেতু অনেক কম ব্যয়ে করতে পারতাম।
এ সময় উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মুনজুর হোসেন, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো: নুরুল আলম, শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: সাইফুদ্দিন গিয়াসসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।